ভারতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি জেলে /
আলোচনার মাধ্যমে ফেরানোর আশা সরকারের
ভারতের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে ধরে নিয়ে যাওয়া ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে ফিরিয়ে আনার আশা করছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এসব কথা জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এদিন সন্ধ্যায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তার আসন্ন সফর নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এক দশক পর ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ নিয়ে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বাংলাদেশি যারা আটক রয়েছেন, তাদের ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে।’ আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই ফেরত আনতে পারা যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত বুধবার কোস্টগার্ডের নিয়মিত নজরদারির সময় আইএমবিএলের কাছ থেকে এফভি লায়লা-২ ও এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারসহ জেলেদের আটক করা হয়। তাদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে আসার পর আলাদাভাবে ভারতীয় কোস্টগার্ড, পুলিশের অপরাধ এবং গোয়েন্দা শাখা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
আটক এক বাংলাদেশি মৎস্যজীবী উড়িষ্যার সাংবাদিকদের বলেছেন, ভুল করে আমরা ভারতীয় জলসীমায় চলে এসেছিলাম। দুটি জাহাজে ১০০ টন মাছ আছে। এর মূল্য এক কোটি টাকা হবে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার ভারতের জলসীমার কাছ থেকে সোমবার দুপুরে এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২ নামের মাছ ধরা জাহাজ দুটি নাবিকসহ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এফভি মেঘনা-৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। এফভি লায়লা-২ এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং।
নৌযান দুটি খুলনা বেল্টের হিরণ পয়েন্ট এলাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে ছিল। জেলে ও নাবিক মিলিয়ে মেঘনাতে ৩৭ জন এবং লায়লাতে ৪১ জন ছিল।
নৌযান দুটি ভারতের কোস্টগার্ডের হাতে আটক হওয়ার পর মালিকপক্ষ সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে অবহিত করেছে।