গণতন্ত্রের জন্য আবারও মাঠে নামতে হতে পারে: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:১৭
শেয়ার :
গণতন্ত্রের জন্য আবারও মাঠে নামতে হতে পারে: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আন্দোলন শেষ হয়নি; মাত্র সরকার পরিবর্তন হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আবারও আমাদের মাঠে নামতে হতে পারে, এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, বিদেশি চক্রের চেয়ে দেশীয় চক্র এখন বেশি ষড়যন্ত্র করছে।’

আজ বুধবার জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরের আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের আন্দোলনের কথা স্বীকার করে না। তারা শুধুমাত্র ৫-৬ জনের কথা বলেন, শুধুমাত্র জুলাই আন্দোলনের কথা বলেন। তাহলে বাকিরা কোথায়?’ তবে এই সরকার ব্যর্থ হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হবে বিএনপিকে উল্লেখ করেন গয়েশ্বর।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের ফল সবাই ভোগ করতে পারে না, কতিপয় কয়েকজন তা ভোগ করে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ বিএনপির চাইতে অন্য একটি দলকে বেশি প্রধান্য দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। গয়েশ্বর বলেন, ‘বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া এখনও চলমান, এ সরকারের অভিজ্ঞতার বড়ই অভাব।’

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ধরলাম শেখ হাসিনাকে এক্সিট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের হরুনরা কিভাবে পালিয়ে গেল। তাদের তো প্রচুর অবৈধ টাকা ছিল। আমার জানা মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকে এসব টাকা জমা পড়েনি।’ কারা আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের দেশ থেকে পালাতে সহযোগীতা করেছে প্রশ্ন রাখেন গয়েশ্বর। 

ভারতের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশে কয়েক লাখ ভারতীয় নাগরিক বৈধ-অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে চাকরি-ব্যবসা করছেন। অবৈধদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যবস্থা নেবে। আমি ভারতকে বলব, আপনারা বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছেন, এটা অব্যাহত রাখেন। সব মিলিয়ে কিছু দিন পর টের পাবেন কত ধানে কত চাল- আপনাদের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।’

এ সময় অবৈধ ভারতীয় বাসিন্দাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর। 

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহকে নির্দেশ করে তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের পানিতে-ভাতে মারতে পারবে না; এতে তারা নিজেরাই মরবে। আমরা ভারতে না গেলে দেশের শতকোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তাই ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে স্বাগত।’

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জারিফ তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা। এর আগে সকালে কৃষক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।