‘আ. লীগ ফিরে আসবে’ বলার অভিযোগে ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৪
শেয়ার :
‘আ. লীগ ফিরে আসবে’ বলার অভিযোগে ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ

‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে- এমন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনের বিরুদ্ধে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের করা এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ফরিদপুরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সভায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আজ দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান, ফরিদপুরের ডিসি মো. কামরুল হাসান তালুকদারসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় বক্তব্য দেন ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান সজল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্প্রতি সদরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও আল মামুন। অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য রাখি। সেখানে দিল্লি না ঢাকার প্রশ্নে বলা হয়েছিল- দিল্লির কোনো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ চলবে না।’

আনিসুর রহমান বলেন, ‘এরপর ওই ইউএনও আমাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেন। ওই সময় তিনি তার অঙ্গ ভঙ্গিতে এবং আমাদের ছলে-বলে-কৌশলে বলার চেষ্টা করেন, আওয়ামী লীগ উইল বি কাম ব্যাক, টুডে অর টুমোরো (আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, আজ অথবা আগামীকাল)।’

এ কথা শুনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান ওই ইউএনওকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহারের জন্য ডিসি মো. কামরুল হাসান তালুকদারকে নির্দেশ দেন।

 মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আজকের মধ্যে এই ইউএনও বদলি হবে এবং আমি আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে ফিরে গিয়ে তাকে সাসপেনশন করব। আমি পাবলিকলি বলে গেলাম, এত দুঃসাহস? এখনো যারা পরিবর্ধিত সরকারের পেছনে এখনো ইন্ধন জোগাচ্ছে। যদি কোনো পুরুষ বা কোনো পদ-পদবিধারী কেউ এদের পৃষ্ঠপোষকতা করে গোপনে আমাদের সংবাদ দেবেন।’

এ সময় ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে সচিবের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ইউএনওর বিষয়ে আজই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

অভিযোগের বিষয়ে সদরপুরের ইউএনও আল মামুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কথাই বলিনি। ওনাদের সঙ্গে যখন কথা বলি তখন বিএনপি–জামায়াতের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই ধরনের কথা বলা হয়নি।’