বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ /
পথে পথে নেতাকর্মীদের ঢল, সাধারণ মানুষের স্লোগান
ভারতের আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করছে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। লংমার্চের গাড়ি বহরকে শুভেচ্ছা জানাতে সড়কের দুই পাশে ঢল নেমেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের। নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতও দেখা গেছে।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নায়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভার হয়ে সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাব-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে বেলা পৌনে ১টায় ভৈরবে পৌঁছায় লংমার্চ। তিন সংগঠনের নেতারা সেখানে বক্তব্য শেষে বেলা দেড়টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেয় লংমার্চ।
আখাউড়ায় গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই লংমার্চ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বেলা ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ওপর দিয়ে যখন লংমার্চ আখাউড়ার দিকে যায় তখন কথা হয় ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদের সঙ্গে। তিনি আমাদের সময়কে জানান, পথে পথে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও গাড়িবহর নিয়ে লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে। এছাড়া সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়ে সমর্থন ব্যক্ত করতে দেখা গেছে অসংখ্য মানুষকে। দেশের মানুষ আজ ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
লংমার্চে থাকা নেতাকর্মীরা জানান, পথে পথে নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন, এমন সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ও তাদের নামেও স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ভৈরবে পথসভায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের শত্রু শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যারা আমাদের দেশের শত্রুকে আশ্রয় দেয়, তারা কখনো বন্ধু হতে পারে না।’
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ পাশাপাশি রাষ্ট্র। আমরা বলেছি ভারত বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে আমাদের হাইকমিশনে হামলা হয়েছে, পতাকা পুড়িয়েছে দেওয়া হয়েছে। সীমন্তে আমাদের দেশের নাগরিকদের গুলি করে মারছে, ফেলানিকে হত্যা করে কাঁটাতারের ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। এটা কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না। ভারত একটি আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র। ভারতের আর্শিবাদে এদেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিতি হয়েছিল। এখন হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘দেশের ২০ কোটি মানুষ আজ ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের প্রতি আমাদের আহ্বান আপনারাও রাজপথে থেকে প্রতিবাদ করুন।’