ইসরায়েলের হামলায় সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০
শেয়ার :
ইসরায়েলের হামলায় সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস

আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোকে অকার্যকর করার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল, সিরিয়ার নৌবহরে হামলা এরই অংশ। এমনই এক বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি হামলার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে দেশটি।

ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ হামলা প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ বলেছে, ‘সোমবার রাতে আল-বাইদা ও লাতাকিয়া বন্দরে তারা হামলা করেছে, যেখানে সিরিয়ার নৌ বাহিনীর ১৫টি জাহাজ নোঙর করা ছিল।’

আইডিএফ জানায়, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়াজুড়ে সাড়ে তিনশর বেশি বিমান হামলা করেছে। অপরদিকে ইসরায়েল স্থলবাহিনী সিরিয়া ও গোলান মালভূমির মধ্যবর্তী বাফার জোনের সাময়িক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

আইডিএফ আরও জানায়, হামলার মধ্যে এয়ারফিল্ড, সামরিক যানবাহন, বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র এবং অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ হোমস, তারতাস ও পালমিরায় শহরেও হামলা চালানো হয়। এছাড়া গোডাউন, গোলাবারুদের মজুত এবং কয়েক ডজন সাগর থেকে সাগরে উৎক্ষেপণযোগ্যও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোও ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল। 

এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বরাতে আল-জাজিরা জানায়, তারা গত ৪৮ ঘণ্টায় সিরিয়ার ওপর ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে। ১৫টি জাহাজ, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বেশ কয়েকটি শহরে অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, রবিবার সিরিয়ান বিদ্রোহীদের হাতে আসাদ সরকারের উৎখাতের পর থেকে এ পর্যন্ত ৩১০টি হামলার তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।

সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি কৌশলগত যেসব হুমকি আছে, সেগুলো ধ্বংস করাই তাদের লক্ষ্য।’ বক্তব্যের এক পর্যায়ে সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করাকে 'বিশাল সাফল্য' হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

এদিকে ইসরায়েলের দাবি 'এগুলো যাতে উগ্রপন্থীদের হাতে না যায়' সেজন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।

প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট আসাদ দামেস্ক ছেড়ে যাওয়ার পরপরই ইসরায়েল হামলা শুরু করে। তিনি ও তার পিতা ১৯৭১ সাল থেকে দেশটি শাসন করে আসছিলেন। গত রবিবার এইচটিএস দামেস্ক দখল করে আসাদ সরকারকে উৎখাত করেই তারা ঘোষণা দেয়, 'সিরিয়া এখন মুক্ত'।