রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব নিরূপণে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে অক্সফাম
রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রভাব নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দুর্যেোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিসের সঙ্গে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীকের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, শরণার্থী বিষয়ক সেল বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন এবং আরআরআরসি কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের পক্ষে আশিষ দামলে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিস্তৃত আর্থ-সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন এবং টেকসই সমাধানগুলো বের করে আনতে গবেষণা উদ্যোগের গ্রহণ করা হবে।
২০১৭ সালে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠী সার্বিকভাবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামো, পরিবেশ এবং অবকাঠামোর উপর নেতিবাচক চাপ সৃষ্টি করছে।
সমঝোতা স্মারক সাক্ষর অনুষ্ঠানে র্দুযোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারকটি একটি কৌশলগত পার্টনারশিপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার একটি প্রতিশ্রুতি হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আমরা রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই ও সহযোগিতামূলক সমাধানের পথ তৈরির লক্ষ্য রাখি।’
এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কটের চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক দক্ষতার ব্যবহারে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের আলোচনায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসির ক্ষেত্রে অক্সফামের অভিজ্ঞতার কথা উঠে আসে।
আরআরআরসি কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আতিথেয়তা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যতিক্রমী মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। আজকের এই গবেষণার উদ্যোগটি রোহিঙ্গা সমস্যার মূল চ্যালেঞ্জ এবং ক্ষয়ক্ষতিগুলোকে সামনে নিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিস দামলে বলেন, ‘এই সংকট শুধু মানবিক সমস্যা নয়, এর সাথে পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক সমস্যাও বটে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে, আমরা বাস্তুচ্যুত এবং কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিতের পথ তৈরির ধারণা পাবো বলে বিশ্বাস রাখি।’
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.কামরুল হাসান এবং অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহমুদা সুলতানা।
উল্লেখ্য, সমঝোতা স্মারকটি গবেষণা এবং এডভোকেসি প্রচেষ্টার মূল হিসেবে কাজ করবে। উদ্যোগটির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে কাজ করবে। পাশাপাশি টেকসই সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন সুপারিশ প্রদানে কাজ করবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার