কী অভিযোগে কলকাতায় গ্রেপ্তার হলেন আওয়ামী লীগের ৪ নেতা
কলকাতা থেকে চারজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে শিলং পুলিশ। তারা সবাই সিলেট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য মেঘালয়ের পুলিশ বলছে, তাদের রাজ্যের একটি ফৌজদারি মামলায় পালিয়ে ছিল ওই চার আওয়ামী লীগ নেতা। তবে তাদের বিরুদ্ধে মেঘালয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আছে বলে যে খবর রটেছে, তা সঠিক নয় বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক ইদাশিশা নংরাং।
কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর পুলিশের সহায়তায় মেঘালয় পুলিশ ওই চারজনকে রবিবার গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান (মুক্তি), সহসভাপতি আবদুল লতিফ (রিপন) ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন (জুয়েল)।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
বিধাননগর পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পরে তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের মেঘালয়ে বসবাস করছিলেন বলে মেঘালয় পুলিশের কাছ থেকে তারা জানতে পেরেছে।
মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক মিজ নংরাং জানিয়েছেন, ‘ওই চারজনের বিরুদ্ধে ডাউকি থানার একটা মামলা ছিল। কোনো ধর্ষণের অভিযোগ নেই তাদের বিরুদ্ধে। ডাউকি থানায় এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ ছিল। সেই মামলাতেই কলকাতা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো হলো, মূলত অস্ত্র দিয়ে হামলা (আগ্নেয়াস্ত্র নয়), হামলার জন্য জমায়েত হওয়া, এক লাখ টাকার কম পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধনের মতো অভিযোগ। এ ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের মামলাও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
