কামরাঙ্গীরচরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর কয়লাঘাট এলাকার একটি বাসায় সামিয়া আক্তার সুগন্ধা (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই স্বজনরা লাশটি বাসায় নিয়ে যায়।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. রহিম বলেন, ‘খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঐ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা যায়, সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’
মৃতা সামিয়ার নানা বাকের হোসেন খোকন জানান, স্থানীয় আশরাফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সে গত বছর এসএসসিতে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিল। তার বাবা ডালিম মাসুদ সাত বছর পূর্বে তাদের রেখে ২য় পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকেন।
নানা বাকের হোসেন খোকন আরও জানান, মা রুনা বেগম ও বড় ভাই অনিকের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচর কয়লাঘাট বেরিবাধ এলাকায় বিল্লাল হোসেনের বাড়ির ৫ম তলার ভাড়া বাসায় থাকত সামিয়া। তার মা দুই দিন আগে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। বাসায় ছিলেন দুই ভাই বোন। সামিয়াকে বাসায় রেখে বড় ভাই অনিক বাইরে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে দরজা খোলার জন্য সামিয়াকে ডাকাডাকি করলে তার কোনো সাড়াশব্দ পান না। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে সে। তখন প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সেখান থেকে নামিয়ে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে বাসায় নেওয়ার পর পুলিশ এসে সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
তিনি বলেন, ‘সামিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তার বাবা কথা বলত না। এসব বিষয় নিয়ে মানসিক ডিপ্রেশনে ছিল সে। হয়ত এ কারণেই আত্মহত্যা করেছে।’ এছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই বলেও তিনি জানান।