‘রুপালি গিটার’ পরিষ্কার হলো ভক্তদের উদ্যোগে

বিনোদন প্রতিবেদক
১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩০
শেয়ার :
‘রুপালি গিটার’ পরিষ্কার হলো ভক্তদের উদ্যোগে

চট্টগ্রামের মানুষ আইয়ুব বাচ্চু ব্যান্ড সংগীতে হয়ে ওঠেন কিংবদন্তি তারকা। ভক্ত-শ্রোতারা ভালোবেসে নাম দেন ‘বস’। কেউবা আবার বলতেন গিটারের জাদুকর। গিটার লিজেন্ড কিংবদন্তি এই ব্যান্ড তারকার মৃত্যুর পর তার স্মৃতিতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে ‘রুপালি গিটার’ নামে স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে ছিল ভাস্কর্যটি। পুরো জায়গাটা ছিল অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন।

গেল রবিবার এক ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী মোহাম্মদ মহসিনের উদ্যোগে আইয়ুব বাচ্চুর ‘রুপালি গিটার’ ভাস্কর্যটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘ওখানে গেলে যখন দেখি জায়গাটি অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন, তখন কষ্ট লাগে। এও ভাবছিলাম- এটা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব কার? এরপর অন্যকে দোষারোপ না করে ভাবলাম, আমিই না হয় উদ্যোগ নিই। তারপর এ নিয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট দিই।’

তিনি জানান, তার সেই পোস্টে অনেকেই সাড়া দেন। এরপর রবিবার সকালে সেখানে উপস্থিত হন অনেকেই। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রুপালি গিটার পরিষ্কারের কাজ করেন।

এদিকে, রুপালি গিটার পরিষ্কারে আহ্বান জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে মহসিন লিখেছিলেন, ‘আমরা সবাই খুবই পছন্দ করি এই রুপালি গিটারের সঙ্গে সেলফি তুলতে। আজকে ছবি তুলতে গিয়ে এই অবস্থা দেখে খুবই কষ্ট লাগল। এটা কার দায়িত্ব আমি জানি না, তবে আমি মনে করছি এটা আমারই দায়িত্ব। আগামী ৮ ডিসেম্বর সকাল ছয়টার সময় আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির থাকব জায়গাটা পরিষ্কার করার জন্য। আপনারাও আমন্ত্রিত।’

অন্যদিকে রুপালি গিটার পরিষ্কারের ঘটনাটি নজরে এসেছে আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনারও। পরিচ্ছন্নতার ভিডিটিও নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক অনেক শ্রদ্ধা চট্টগ্রামের মিউজিশিয়ানদের এবং যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত হলেন। বিশেষ করে পিএইচপি গ্রুপের মহসিন ভাইকে আমি ও আমার পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা। আইয়ুব বাচ্চু কোনো রাজনৈতিক দলের নন। তিনি সারা পৃথিবীর বাংলাভাষী গানপ্রেমী মানুষের আইয়ুব বাচ্চু। এভাবেই তাকে সারা জীবন ভালোবাসায় রাখবেন, তিনি এ দেশের গর্ব, রত্ন।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ১৮ ফুট উচ্চতা ও ৬ ফুট প্রস্থের এই রুপালি গিটারের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। গিটারের পাশে আছে পানির ফোয়ারা ও আলোকসজ্জা। ধীরে ধীরে প্রবর্তক মোড়ের রুপালি গিটার শহরের মানুষ ও দর্শনার্থীদের কাছে আবেগের একটা জায়গায় পরিণত হয়।