চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে হেফাজত কর্মীর মামলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৬
শেয়ার :
চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে হেফাজত কর্মীর মামলা

ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। আজ রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এনামুল হক নামের এক হেফাজত ইসলামের কর্মী মামলটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নগরীর কোতয়ালি থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম অ্যাডভোকেট ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিপন কান্তি নাথ, আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস, আওয়ামী লীগ নেতা সজিব রায়, হাবিবুর রহমান মাসুম, রেজিস্ট্রেশন সদর রেকর্ড অফিসের কর্মচারী তপন কান্তি দাস, রাজিব দাস এবং ছাত্রলীগ নেতা জামিল হোসেন মুছা। এছাড়াও চট্টগ্রামের তিন সাংবাদিককেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের একজন সমর্থক। গত ২৬ নভেম্বর তিনি জমি রেজিস্ট্রির কাজে আদালতে যান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীরা তার ওপর হামলা করেন। এতে তার হাত ভেঙে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। অসুস্থ থাকায় এত দিন মামলা করতে পারেননি।

বাদীর আইনজীবী শামসুল আলম বলেন, মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ৫০০ জনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করেছেন এবং মামলাটি কোতয়ালি থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান আটকে রেখে বিক্ষোভ করে তার ভক্ত ও অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে, লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষও হয়। এ সময় আদালতের পাশে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে চিন্ময়ের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

এসব ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে। অন্তত দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে।