সিরিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘকে যা বললেন এরদোয়ান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০০
শেয়ার :
সিরিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘকে যা বললেন এরদোয়ান

সিরিয়ায় নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতা নিয়ে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, সিরিয়ার শাসক বাশার আল আসাদকে জনসংশ্লিষ্টতা বাড়াতে হবে এবং একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের দিকে উদ্যোগী হতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এরদোয়ান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপে সিরিয়ার চলমান সঙ্কট নিয়ে এ কথা বলেন সে সময়ই তিনি এই মন্তব্য করেন

হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো। শহরটি দখল নিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। কথিত আছে এই বিদ্রোহীদের অস্ত্র সহায়তা দিয়ে থাকে পশ্চিমা দেশগুলো। আর তাদের প্রতিহত করতে প্রেসিডেন্ট আসাদ সরকারকে সহায়তা করে রাশিয়া। গত সপ্তাহে শহরটি দখলে নেওয়ার পর নতুন করে এই অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা দেখা গেছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিদ্রোহীরা আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর হামা দখল করেছে। আর আসাদ সরকারের সহায়তায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। 

বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা হামা শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় কারাগার দখলে নিয়েছেন, বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছেন। অনেক বিশ্লেষকদের মতে বিদ্রোহীদের একটা অংশকে সহায়তা করে থাকে তুরস্ক। মূলত সশস্ত্র কুর্দি গোষ্ঠীদের প্রতিহত করতে এই অর্থায়ন করে তারা।  

এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক সিরিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে এবং সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবকে জানান, যে সংঘাতটি এখন নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার সবচেয়ে বড় চাওয়া হল সিরিয়া যেন বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার মধ্যে না পড়ে এবং আরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত না হয়।

এরদোয়ান আরও জানান, আঙ্কারা উত্তেজনা কমাতে, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়া সূচিত করতে কঠোর পরিশ্রম করছে। তারা এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

গুতেরেস এরদোয়ানকে জানান, সব বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়া জরুরি, যাতে রক্তপাত বন্ধ করা যায়। তিনি বলেন, সব পক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেসামরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্মিলিত ব্যর্থতার তিক্ত ফল হচ্ছে সিরিয়া, যেখানে আগের কোনো শিথিলকরণ ব্যবস্থা গঠনমূলক জাতীয় যুদ্ধবিরতি বা একটি সত্যিকারের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া তৈরি করতে পারেনি।’