পল্লবীতে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
রাজধানীর পল্লবীতে গ্যাসের আগুনে ৭ জন দগ্ধের ঘটনায় আব্দুল্লাহ (১৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪।
এবার বাবা, মা, ছেলের পর মারা গেলেন আরেক ছেলে।
আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে মারা যায় আব্দুল্লাহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ণ ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, ‘আব্দুল্লাহর শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।’
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে শিশুটির মা রুমা আক্তার, বাবা আব্দুল খলিল ও ছেলে মোহাম্মদ (১০) মারা যায়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে দগ্ধদের মধ্যে শাহজাহান (৩৫) কে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দগ্ধ আব্দুল্লাহ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার গ্রামের মৃত খলিলের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে আব্দুল্লাহ ছিল বড়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১১ ব্লক-সি এভিনিউ-৫, একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচ জনসহ সাত জন দগ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয় ।
দগ্ধরা হচ্ছেন, রং মিস্তিরি আব্দুল খলিল (৪০), তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে আব্দুল্লাহ (১৩), ছেলে মোহাম্মদ (১০), ইসমাইল (৪)। এছাড়াও একই বাসার ভাড়াটিয়া স্বামী স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী সপ্না (২৫) ও শাহ্জাহান (৩৫)।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সেখানকার চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে ৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
দগ্ধ খলিলের ভায়েরা আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, ঐ বাসায় পুরো রুমটিতে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়েছিল। রাতে মশার উৎপাতের কারণে খলিল রাত আনুমানিক তিনটার দিকে কয়েল ধরানোর জন্য মেছ ধরাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে তারা সবাই দগ্ধ হয়।
এদিকে খলিলের বড় ভাই মিলন জানান, ঐ বাসার গ্যাসের লাইন থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে রুমে জমা হয়ে ছিল বলে মনে করছেন তিনি।
ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ভোরে জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের নিয়ে আসেন।