বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির উচ্চ সর্তকতা জারি
সীমান্তে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে বেনাপোলের কয়েকটি এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এলাকাগুলো হলো ধান্যখোলা, রঘুনাথপুর, সাদিপুর, ঘিবা, পুটখালী, বাহাদুরপুর, দৌলতপুর, বড় আচড়া ও গাতিপাড়া।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমান্তে বসবাসরত জনসাধারণও বিজিবির সাথে রাত জেগে সীমান্ত পাহাড়া দিচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে সন্ধ্যার পর জনসাধারণকে সীমান্ত এলাকায় যাতায়াতে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিজিবি সেসব সীমান্ত এলাকার সড়কগুলোতে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী উচ্চ সর্তকতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিজিবি সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারই প্রেক্ষিতে সকল ইউনিটকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজিবি।’
উল্লেখ্য, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এতে করে বাংলাদেশের ইসকন সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে একজন আইনজীবীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে ও সেই সঙ্গে আদালতের মসজিদে ভাংচুর করে।
শুধু তাই নয়, ইসকন নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গত সোমবার, ২ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনেও ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়া হয়।
একই দিনে বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিজেপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসকন সদস্যরা।
তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি রপ্তানী বন্ধের হুমকি দিলেও তা কার্যকর হয়নি। এ প্রসঙ্গে বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর সজিব নাজির জানান, আমদানি, রপ্তানী ও পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।