ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:০৯
শেয়ার :
ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপপ্ত সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ আমাদের সময়কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা করে ‘হিন্দু সংগ্রাম সমিতি’ নামের একটি সংগঠন। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে তারা।  এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে উল্লখ করে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্য করে।  

বিবৃতিতে বলা হয়, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সোমবার স্থানীয় হিন্দু সংগ্রাম সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল দ্বারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও আক্রমণে বাংলাদেশ সরকার ক্ষুব্ধ।প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, বিক্ষোভকারীদের পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে প্রাঙ্গণে আগ্রাসনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরের সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না। সহকারী হাই কমিশনের সব সদস্য গভীর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ সরকার আরও উল্লেখ করতে চায় যে, গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায়ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের ওপর এই ধরনের জঘন্য হামলা এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগরতলায় এই ঘটনা ১৯৬১ সালের ভিয়েনা সনদ লঙ্ঘন করেছে। যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, কূটনীতিক, অ-কূটনৈতিক সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানায়।