ফেলানীর বুকে তাক করেছিল কার বন্দুক, প্রশ্ন কবীর সুমনের

বিনোদন প্রতিবেদক
০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১২
শেয়ার :
ফেলানীর বুকে তাক করেছিল কার বন্দুক, প্রশ্ন কবীর সুমনের

পশ্চিমবঙ্গের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বারবারই সরব তিনি। প্রায়ই তাকে দেখা যায়, বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করতে। কখনো ফেসবুকে লিখেন সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আবার কখনো তা তুলে ধরেন গানের কথায়। জুলাই-অগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময়েও নানা বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন ওপার বাংলার এই শিল্পী।

সম্প্রতি ‘পতাকার অবমাননা’ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি চর্চা। এই ঘটনায় কবীর সুমনের একটি কবিতা উঠে এসেছে নানা প্রশ্ন। গতকাল শনিবার ফেসবুকে প্রকাশিত কবিতায় উঠে এসেছে কাঁটাতারের সীমান্তে ফেলানীকে হত্যার বিষয়টিও।

কবীর সুমনের কথায়, ‘কতগুলো উজবুক পতাকা মাড়ালো বিজ্ঞরা তাই ব্লাড প্রেশার বাড়ালো। পতাকার চেয়ে বড় ফেলানীর বুক, সেটা তাক করেছিল কার বন্দুক। কাঁটাতারে ঝুলছিল মেয়েটা আমার, দেশের বুলেট দেশপ্রেমের খামার।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কার দেশ কার ফ্ল্যাগ কার কাঁটাতার, কোথায় রইল ঝুলে ফেলানী আমার। পরের জন্মে মেয়ে আমি আর তুমি ফ্ল্যাগহীন কোনো দেশে খুঁজে পাবো ভূমি। আমার সঙ্গে গান গাইবে তুমিও গাইবে অন্য কোনো জন্মভূমিও।’

সবশেষে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘পরের জন্মে যে ফেলানীর বাবা হবে আর আবু সাঈদের মতো ঘাতকের সামনে বুক পেতে দেবে। জয় ভালোবাসা।’

সুমন তার এই লেখায় কারও নাম নেননি, তবে অনেকেই মনে করছেন এটি তিনি মূলত কবি শ্রীজাতকে উদ্দেশ্য করেই লিখেছেন। পোস্টের মন্তব্যকারীদের ইঙ্গিতও তেমন।

পরদিন রবিবার কবীর সুমন ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট করেন। সেখানে কিংবদন্তি এই লেখক লিখেছেন, ‘কোন পতাকায় লাথি দেয় কেউ, কোন পতাকায় ফুল। আমার প্রেমের পতাকা তোমার এলোমেলো হওয়া চুল। পতাকায় নয় কিছুই শুরু, পতাকায় নয় শেষ। আমিই ভারতবর্ষ প্রিয়া, আমিই বাংলাদেশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারা করে কার অপমান প্রিয়া কতগুলো উজবুক, আদরে আদরে এঁকে দেব চলো সবার দেশের মুখ। ভুলে যাই কেন একজন ক্রুশে ঝুলেছেন একা একা। সকলের হয়ে, চলো প্রিয়তমা, যদি পাই তার দেখা। তিনি বলবেন এসো হাত ধরো, শত্রুতা ভুলে যাও। পতাকার চেয়ে ভালোবাসা বড় প্রেমের গানটা গাও।’