তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামলো ১১ ডিগ্রিতে
শীতের মাত্রা বাড়ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। ১১ ডিগ্রির ঘরে শীতের তাপমাত্রা। তাপমাত্রা কমতে থাকায় বেড়েছে শীতের মাত্রা। কনকনে শীতে কাঁপছে হিমপ্রবন উত্তর জনপদের মানুষ।
আজ শুক্রবার সকালে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা না থাকলেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন দিনমজুর থেকে নানান শ্রেণি পেশার মানুষ। তারা বলছেন, পৌষ মাসের মতোই কনকনে ঠান্ডা। তবে সকাল ১০টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবার উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকলে শীত লাগতে শুরু করে। শীতের কাপড় বের করতে হয়েছে। রাত কম্বল কিংবা কাথা নিতে হয়।
উত্তরের জেলা পর্যটনের অঞ্চল হওয়ায় শুক্রবার প্রচুর পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখার সাথে শীত উপভোগ করছেন পর্যটকরা। তারা বলছেন, বেশ শীত পড়েছে এ এলাকায়। আমরা বিভিন্ন জায়গা হতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে তেঁতুলিয়ায় এসেছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসে ¯িœগ্ধ ভোরে শীতও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে। শুনেছি উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। তাই মনে হয়েছে।
সবজি চাষি আমির আলি ও মুক্তার জানান, আগের থেকে অনেক ঠান্ডা এখন। আমাদের ভোরে টাটকা সবজি তুলে বাজারে নিতে হয়। ভোরে ক্ষেতে লাল শাক, লাউশাক, পাতা ও ফুলকপি, ধনিয়াপাতা তুলতে গেলে শিশিরের স্পর্শে বেশ বরফের মতো লাগে। হাত অবশ হয়ে আসে।
গৃহিনীরা জানান, ভালো ঠান্ডা পড়েছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘরের ফ্লোর ও আসবাবপত্র বরফ হয়ে উঠে। কাজকাম করতে অসুবিধা হয়ে যায়। এখনই এতো ঠান্ডা, সামনে তো কঠিন ঠান্ডা আসছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঠান্ডা অনেকটা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
এদিকে শীতে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি, হাপানিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। তেঁতুলিয়া ৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, সামনে পৌষ মাস। পৌষ আর মাঘ মাসে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে এখানে। তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে আসে। আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত তিনদিন মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির মধ্যে রলয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় শীত অনুভত হয়।’