আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ঘেরাও করে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৭৪ নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওসার সুলতান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে প্রায় ১০টি গ্রাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভাবনাটি গ্রামের মৃত মীর হোসেন মাস্টারের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুকে ধামরাই থানার এসআই কাউসার সুলতান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে তার নিজ গ্রাম থেকে আটক করে। আটক করার পর নান্নুকে উপজেলার কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র নিয়ে আসে। এ সময়ই আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কয়েক শত নারী পুরুষ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে ওই নেতাকে ছিনিয়ে নেয় তার সমর্থকরা। সেই সাথে রাস্তা বেরিকেট দেয় তারা।
পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে আটককৃত নান্নুকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, নান্নু আওয়ামী লীগ করে ঠিক আছে। কিন্তু তার আচরণে কারও কোনো ক্ষতি হয়নি। যার কারণেই তার আটক হওয়ার খবর শুনে এলাকাবাসী পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম কাউসার সুলতান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু এজাহারভুক্ত আসামি না থাকলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, নান্নুকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তিরা তদন্তকেন্দ্রে হামলা করে ভাঙচুর করেছে বিধায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।