মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৫
শেয়ার :
মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি

১১২ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি জন টিনিসউড। ১৯১২ সালে জন্মগ্রহণ করা জন টিনিসউড দুটি বিশ্বযুদ্ধ, দুটি বৈশ্বিক মহামারির সাক্ষী ছিলেন। গত সোমবার উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টে মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।

কয়েকমাস আগেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। জনের পরিবার জানায়, ‘জনের অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি বুদ্ধিমান, সাহসী, যে কোনো সংকটে শান্ত, গণিতে প্রতিভাবান এবং একজন দুর্দান্ত আলোচনাকারী ছিলেন।’

১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জন টিনিসউড তার স্ত্রী ব্লডওয়েনের সঙ্গে একটি নাচের অনুষ্ঠানে প্রথম দেখা করেন। যুদ্ধের সময় ‘রয়্যাল আর্মি পে কর্পস’-এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। রয়্যাল আর্মি পে কর্পস মূলত সৈন্যদের বেতনভাতা ও খাদ্য সরবরাহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। ৬০ বছর বয়সে অবসর নেয়ার আগে তেল শিল্পে হিসাবরক্ষক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। ১৯৮৬ সালে তার স্ত্রী ব্লডওয়েন মারা যান। 

জন টিনিসউডের এক মেয়ে. চার নাতি-নাতনি এবং তিন প্রপৌত্র আছে। ১০০ থেকে ১১০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি প্রতি বছর প্রয়াত রানী এলিজাবেথের কাছ থেকে জন্মদিনের কার্ড উপহার পেতেন। ২০২২ সালে মারা যাওয়া রানী এলিজাবেথ জন টিনিসউডের চেয়ে ১৪ বছরের ছোট ছিলেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানিয়েছে, তিনি মানসিকভাবে সক্রিয় ছিলেন। দৈনন্দিন খবরের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং নিজের আর্থিক ব্যবস্থাপনাও নিজেই করতেন, যা সম্ভবত তার দীর্ঘায়ুতে অবদান রেখেছিল।

চলতি বছরের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস যখন তাকে বিশ্বের প্রবীণতম পুরুষের খেতাব প্রদান করে, তখন টিনিসউড বলেছিলেন, তার দীর্ঘায়ু হওয়ার কোনো বড় রহস্য নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন, এটি ‘শুধুই ভাগ্য’।

জন টিনিসউড বলেন, ‘আপনি দীর্ঘায়ু হন, অথবা আপনি স্বল্পায়ু হন- এ বিষয়ে আপনি খুব বেশি কিছু করতে পারবেন না।’