যুগ্মসচিবের শাস্তির দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১৫
শেয়ার :
যুগ্মসচিবের শাস্তির দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

‘দুর্ব্যবহারের’ অভিযোগ এনে অর্থ বিভাগের এক যুগ্মসচিবের শাস্তির দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। আজ বুধবার সচিবালয় ছয় নম্বর ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব নাদিরা সুলতানা সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলা উসকে দিয়েছেন এবং কর্মচারীদের সঙ্গে অমানবিক, অসৌজন্যমূলক ও আক্রমণাত্মক আচরণ করেছেন।

গত মঙ্গলবার বিকালেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এমন অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান। যুগ্মসচিব নাদিরা সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিত আবেদনও দেন তারা।

বিক্ষোভ করা কয়েকজন কর্মচারী জানান, সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব পদে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারীদের নির্দিষ্ট হারে পদোন্নতি পাওয়ার কোটা রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ক্যাডার-বহির্ভূত কর্মচারীরা বঞ্চিত হয়েছেন।

তারা জানান, বঞ্চিত কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এরই মধ্যে কমিটির অন্য সদস্যরা এই সমস্যা সমাধানে একমত পোষণ করে একটি প্রতিবেদনে সই করেছেন। কিন্তু কমিটির এক সদস্য নাদিরা সুলতানা শুরু থেকেই এ প্রতিবেদনে সই দিতে চাননি। 

গত মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী নাদিরা সুলতানার সই আনতে যান অর্থ মন্ত্রণালয়ে। তখন নাদিরা সুলতানা জিয়াউরের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করলে এক পর্যায়ে জিয়া অসুস্থ হয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন কর্মচারীরা। তাদের ভাষ্য, পরে জিয়াকে সচিবালয়ের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর কর্মচারী হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। 

যুগ্ম সচিবের ‘খারাপ আচরণের’ খবর ছড়িয়ে পড়লে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় গিয়ে ওই যুগ্মসচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজও সচিবালয়ের কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেন।

জানা গেছে, এপিডি ওবায়দুর রহমান তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে প্রতিবেদনে নাদিরা সুলতানাকে সই করার নির্দেশ দেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় নাদিরা সই করেন।