আইনজীবী হত্যাকাণ্ড /

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বেরোবিতে বিক্ষোভ

বেরোবি প্রতিনিধি
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫
শেয়ার :
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বেরোবিতে বিক্ষোভ

চট্টগ্রামে উগ্রবাদী দেশদ্রোহী ইসকনের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবী করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ‘‘ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, দিল্লি না ঢাকা, জঙ্গি জঙ্গি ইস্কন জঙ্গি, দাঙ্গা বাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, পেতে চাইলে মুক্তি ভারত ছাড়ো ভক্তি, দিয়েছি তো রক্ত আরও দিবো রক্ত, নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার, দালিলি না মুক্তি, আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলটি আবু সাঈদ চত্বর হয়ে মডার্ন হয়ে পুনরায় প্রধান ফটকে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।

ইসকনকে ভারতের দালাল আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক রহমত আলী বলেন, ‘আমরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ শান্তি পূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে। কিন্তু তারা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণিত করেছে তারা একটি উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন। এরা বাংলাদেশের শত্রু। আমাদের দেশে শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য ভারতের দালাল, মোদির যে কুচক্র আছে, সেটা বাস্তবায়নের যেই নীলনকশা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে, সেটা হতে দেয়া হবে না। যতদ্রুত ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এদের ইন্ধন যোগায় তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, ‘বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। কিন্তু ভারতের মোদি এতদিন যে বিভক্তি বিভক্তি খেলা খেলেছে, তা আওয়ামী লীগ পতনের পর সেটার ইতি ঘটেছিল। এখন তারা এই উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনকে ইন্ধন দিয়ে এই সম্প্রীতি নষ্ট করছে। চট্টগ্রামে যে নৃশংসতা তারা চালিয়েছে তাই উপদেষ্টামন্ডলির কাছে আমরা এখান থেকে দাবি তুলছি তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে।’

ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে জাকের হোসেন পাশা বলেন, ‘আমাদের একজন ভাইকে চট্টগ্রামে গলা কেটে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ইসকন প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা বাহান্ন, একাত্তর ও জুলাই বিপ্লবে রক্ত দিয়েছি। সুতরাং কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে তাক ছাত্রসমাজ প্রতিহত করবে। এই ইস্কনের কার্যক্রম স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় চালালে বা চললে সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্র যেন সে ব্যবস্থা গ্রহন করে। করতে।’