চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশের সঙ্গে ইসকন সদস্যদের সংঘর্ষ চলছে
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের সঙ্গে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) সদস্যদের সংঘর্ষ চলছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বহন করা প্রিজনভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। আজ দুপুর পৌনে ১২টা থেকে ইসকন সদস্যরা আদালতে প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন। পরে রাস্তা ফাঁকা করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়লে ইসকন কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন ভবনে ও গাড়িতে হামলা শুরু করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছে।
ছত্রভঙ্গ হয়ে ইসকন সদস্যরা আদালতের কেন্দ্রীয় মসজিদের জানালার কাচ ভাঙচুর করার অভিযোগ করেন মুসল্লিরা। এ ছাড়া আইনজীবীদের তিনটি প্রাইভেটকার ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে ইসকন সদস্যদের সংঘর্ষ চলছে।
জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্টদ্রোহ মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম আদালত এই আদেশ দেন। শুনানির পর ইসকন নেতাকে বহনকারী পুলিশের প্রিজনভ্যান আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে বিক্ষোভ করেন ইসকন সদস্যরা। পরে ২টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।