সায়ানকে উপদেষ্টা বানানো হলো না কেন, প্রশ্ন টুলুর

বিনোদন প্রতিবেদক
২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭
শেয়ার :
সায়ানকে উপদেষ্টা বানানো হলো না কেন, প্রশ্ন টুলুর

সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। যার গানে উঠে আসে সমাজের নানা বৈষম্য আর অনিয়মের কথা। অন্যয়ের প্রতিবাদ করতে বিন্দুমাত্র পিছপা হন না প্রতিবাদী গানের এই শিল্পী। বিগত সরকারের আমলে নানা দমনপীড়নে বরাবরই সরব ছিলেন তিনি। গান-কবিতা নিয়ে ছিলেন মিছিলের অগ্রভাগেও।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনেও সবর ছিলেন সায়ান। স্লোগান কিংবা দাবি আদায়ের আড্ডায় সায়ানের গানই ছিল যেন যুদ্ধাস্ত্র। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের তালিকায় এই সংগীতশিল্পীর নামটি থাকবে! কিন্তু আশাহত হতে হয়েছে তাদের। এ নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন নেটদুনিয়ায়।

এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন নব্বই দশকের কালজয়ী গানের স্রষ্টা আশিকুজ্জামান টুলু। আর্ক ব্যান্ডের এই প্রতিষ্ঠাতার কথায়, ‘সায়ান একজন জাত শিল্পী। যার রাজনৈতিক দর্শন, মুক্তচিন্তা, অকুতোভয় মনোভাব, নির্ভীক পথচলা, ন্যায় কথা বলা এবং সংগীতের প্রতি গভীর প্রেম প্রমাণ করে দিয়েছে- একজন প্রকৃত শিল্পীর মানচিত্র। সায়ানের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই কিন্তু ওর প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আছে। এই জাগতিক ঘোড়দৌড়ে ওর মত শিল্পী কিভাবে জন্মাল আমার জানা নেই।’

টুলু আরও বলেন, ‘ওকে কেন আপনারা উপদেষ্টা বানালেন না, আমি জানিনা। তবে ও একজন যোগ্য প্রার্থী যার সৎ মনোভাব এবং নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দর্শনের কারণে দেশের জনগণ একজন সিনসিয়ার (নিরপেক্ষ উপদেষ্টা) পেত ও যার দ্বারা শিল্প সংস্কৃতির সঠিক রিপ্রেজেন্টেশনটা হত এবং আপামর জনসাধারণ উপকৃত হত। যার মনে মায়া নেই, তাকে দিয়ে আপনি মানুষকে কিভাবে ভালোবাসাবেন?’

সবশেষে সায়ানের প্রশংসা করে গুণী এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘ওর পরিচয় নতুন করে দেওয়ার কিছু নাই। যারা চেনেন না, শুধু ওর গান শুনে দেখেন- আমার কথা মিলে কিনা। কোন পর্যায়ের জীবন দর্শন নিয়ে ও চলে, সেটা বুঝতে পারবেন। ও শুধু ওর লেখা-সুরে গানগুলো গায় না বরং প্রচণ্ড বিশ্বাস করে কথাগুলোতে এবং তার প্রতিফলন ওর জীবন-যাত্রায় খুব সুস্পষ্ট। কি সুন্দর সুর, কি অদ্ভুত কথা আর কি চমৎকার গায়কি আহা। তাছাড়া কোন পরিবারের মেয়ে সে, সেটাও একটা বিরাট ব্যাপার- তার এত ট্যালেন্টের পেছনে।’