শাহবাগ অবরোধকারী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হটালো জনতা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গতকাল সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার হন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। তিনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। তাকে গ্রেপ্তারের খবরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের পর শাহবাগে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভক্তরা।
অভিযোগ উঠেছে, সোমবার রাত ৮ টার দিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হলে একদল তরুণ-যুবক তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেয়। সেখানেও তারা চিন্ময়ের মুক্তি দাবি ও হামলার বিচার দাবি করেন।
চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্ব থাকা সৈারভ দাস বলেন, ‘চিন্ময় দাসকে কেন ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তা জানতে আমরা ডিবি কার্যালয়ে গেলেও আমাদের কোনো কারণ জানানো হয়নি। পরে আমরা শাহবাগে অবস্থান নিলে একদল ব্যক্তি আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। আমরা চিন্ময় দাসের মুক্তি, হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’ চিন্ময় দাসকে মুক্তি না দিলে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি ।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
শাহবাগ মোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একদল তরুণ যুবক জাতীয় জাদুঘরের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে আছে। অন্য একটি গ্রুপ পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। তারা কোন পক্ষের জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা সাধারণ জনগণ। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ পাইলে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি আমরা; নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘চিন্ময়ের মুক্তির দাবি নিয়ে রাতে একদল শাহবাগে জড়ো হয়ে রাস্তা ব্যারিকেড দিতে চাইলে সাধারণ জনতা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে বলে জানা নেই। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
