সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে যুবক নিহত
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি চারতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার রাত ১০ টার দিকে টঙ্গীর আউচপাড়ার মোল্লাবাড়ি সড়ক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত যুবকের নাম মো. হাবিবুল্লাহ (১৯)। তার বাবার নাম মো. রুহুল আমিন। তিনি পরিবারের সঙ্গে আউচপাড়ার মোল্লাবাড়ি এলাকার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণে হাবিবুল্লাহ গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি নরসিংদীর একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর আউচপাড়া মোল্লাবাড়ি এলাকায় অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী এক ব্যক্তির চারতলা ভবন আছে। বাসাটি প্রতি তলা তিন ইউনিটের। এর মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়ার আশায় নিচ তলায় সেপটিক ট্যাংকের ওপর তিন কক্ষের একটি আলাদা ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে হাবিবুল্লাহ সেখানে ভাড়া থাকতেন। এর মধ্যে গতকাল রাত ১০টার দিকে হঠাৎ বাসার নিচের সেপটিক ট্যাংকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বাসার তলা ধসে বিভিন্ন জিনিসের আঘাতে গুরুতর আহত হন হাবিবুল্লাহ। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. শাহীন আলম বলেন, ‘আমরা রাত ১০টা ১০ মিনিটে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু আমরা যাওয়ার আগেই আহত হাবিবুল্লাহকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় তার আত্মীয়স্বজনরা। আমরা প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছি। বিশাল সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে গ্যাস বেরোনোর জন্য কোনো লাইন (বাইপাস) ছিল না। এ কারণে ভেতরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেপটিক ট্যাংকটি ঠিকঠাক মতো মেরামত না করা পর্যন্ত বাড়িটিতে কাউকে না থাকার জন্য সতর্ক করে এসেছি।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে কেউ যদি গাফিলতির অভিযোগ করেন, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’