আজও ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা
কয়েক দিন ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন তারা। এদিন সকাল ১০টা থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালুসহ ১২ দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চালকরা গণঅবস্থান নেন। এতে পল্টন ও হাইকোর্ট মোড় এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অটোরিকশা চালকদের আন্দোলনের কারণে ঢাকার মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর ও গাবতলী সড়কেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অনেক মানুষ। অফিস ও জরুরি কাজে যারা বের হয়েছেন তাদের অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, হঠাৎ সকাল সাড়ে ১০টা দিকে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ চার রাস্তার মোড় ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে যাত্রাবাড়ী এলাকায়ও বিক্ষোভ করছে রিকশাচালক ও শ্রমিকেরা। সেখানে রিকশাচালকের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ বারবার মাইকিং করে তাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য জানালেও রিকশাচালকেরা রাস্তা ছাড়ছেন না।
প্রতিটি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইজরাইল হাওলাদার বলেছেন, প্রতিটি এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতা ও বেআইনি কার্যক্রম করতে দেবে না পুলিশ।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পর দিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সড়ক ও রেলপথ আটকে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা। গত শুক্রবারও জুরাইনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হয়েছে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছোড়া হয় টিয়ারশেল। রেললাইন অবরোধের কারণে পদ্মা সেতু হয়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে চার ঘণ্টা।