৩৩ ঘণ্টা পর সমঝোতা /

অবশেষে ৩০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯
শেয়ার :
অবশেষে ৩০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধে সহায়তার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে রেকর্ড ৩০০ বিলিয়ন ডলার (৩০ হাজার কোটি) দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ধনী দেশগুলো। গতকাল শনিবার আজারবাইজানের কপ২৯ সম্মেলনে দীর্ঘ আলোচনা ও দর-কষাকষির পর অবশেষে দেশগুলো এ বিষয়ে সমঝোতায় আসতে সক্ষম হয়। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজারবাইজানে ওই সম্মেলন সমঝোতার জন্য অতিরিক্ত ৩৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। শেষ পর্যন্ত লম্বা সময় আলোচনার পর দেশগুলো এ বিষয়ে একমত হতে পেরেছে।

জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থার প্রধান সাইমন স্টেইল বলেছেন, ‘এটা ছিল কঠিন যাত্রা। কিন্তু আমরা চুক্তিটি করতে পেরেছি।’

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ৩শ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি দেশগুলো একমত হয়েছে যে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তত ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার দরকার। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত এ অর্থ দেওয়া হবে। প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

চলতি বছর কপের ২৯তম আসর শুরু হয় গত ১১ নভেম্বর। গত শুক্রবার এই সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে জলবায়ু তহবিলে অর্থায়নের বিষয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় সময় আরও একদিন বাড়ানো হয়। অবশেষে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর বাংলাদেশ সময় রবিবার ভোরে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে একমত হয়েছে কপের সদস্য দেশগুলো।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনী দেশগুলোর বিরুদ্ধে জলবায়ু তহবিলে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে শনিবার রাতে সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দেয় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। তবে পরে আবার আলোচনায় যোগ দেয় তারা।

ছোট ছোট দ্বীপ রাজ্যগুলোর যে জোট তার প্রধান সেডিরক সুসটার বলছিলেন, ‘আমি এটা বাড়িয়ে বলছি না যে আমাদের দ্বীপগুলো ডুবে যাচ্ছে। একটা দুর্বল চুক্তি নিয়ে আমরা আমাদের নারী, পুরুষ ও শিশুদের কাছে ফেরত যাবো এটা আপনারা প্রত্যাশা করেন কী করে?’

রবিবার শেষ পর্যন্ত কিছু পরিবর্তন এনে চুক্তিটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। এ সময় করতালি ও উল্লাস করেন অনেকে। তবে ভারতীয়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছিল গভীর হতাশা থেকেই গেছে।

ভারতীয় প্রতিনিধি লিলা নন্দন বলেন, ‘আমরা এটা মেনে নিতে পারি না... প্রস্তাবিত লক্ষ্য আমাদের জন্য কিছু সমাধান করবে না। আমাদের দেশের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য এটি অনুকূল নয়।’

এরপর সুইজারল্যান্ড, মালদ্বীপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ কিছু দেশ প্রতিবাদ জানায়। তারা বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানির বৈশ্বিক ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য চুক্তিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবই দুর্বল।