সাটুরিয়ায় শিক্ষার্থীদের পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯
শেয়ার :
সাটুরিয়ায় শিক্ষার্থীদের পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

সাটু‌রিয়া উপ‌জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। ত‌বে এ বিদ‌্যালয়‌টি‌তে প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে আসতে হয় শিক্ষার্থী‌দের। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে স্কুলে যাতায়াত করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। পারাপারের জন্য স্থানীয়রা সেখানে বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে সাঁকো। আর সেই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। খরার সময় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করা গেলেও বর্ষায় ঝুঁকি বেশি থাকায় স্কুলে যায় না শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ১৯৭২ সালে আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে সব শ্রেণি মিলিয়ে শিক্ষার্থী ১১০ জন। 

এদিকে বিদ্যালয়ের তিন পাশেই ধানক্ষেত আর বসতবাড়ি। অন্য পাশে রয়েছে একটি পুকুর। প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে শিশুদের একটি মাত্র রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের করতে হয়। 

এ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা ব‌লেন, ‘বাড়ির কাছে আর কোনো বিদ্যালয় নেই। তাই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকো পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। খালে যদি একটি কালর্ভাট থাকত, তাহলে আমরা নিশ্চিন্তে স্কুলে যাওয়া আসা করতে পারতাম।’

স্থানীয়রা জানান, নিজ উদ্যোগেই খা‌লের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছে গ্রামবাসী। গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে।

আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী তুয়া আক্তার জানায়, স্কুলে আসার রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় বাঁশ দি‌য়ে বানা‌নো ব্রীজ পেরি‌য়ে স্কু‌লে আসে ছাত্রছাত্রীরা।তবে, এ বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার ভ‌য়ে অনেকে আবার স্কু‌লেই আসে না। প্রতি‌দিন তা‌দের ক্লা‌সে মাত্র ৫ থে‌কে ৬ জন ছাত্রছাত্রী আসে।

বিদ‌্যাল‌য়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক মারিয়া আক্তার শিউলি বলেন, ‘স্কুলে যাওয়ার একটি রাস্তার মধ্যে কালভার্ট না থাকায় বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি, খালে পড়ে যায় কি না। এ জন্য মাঝে মধ্যে স্কুলে গিয়ে বাচ্চার জন্য বসে থাকতে হয়।’

আংগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শওকত আলী বলেন, ‘স্থানীয়ভা‌বে টাকা তু‌লে আমরা মা‌টি ফে‌লে রাস্তা ও বাঁশের পুলটি তৈ‌রি ক‌রে‌ছি। দীর্ঘদিন ধ‌রে এভা‌বে বাঁশের পু‌ল পে‌রি‌য়ে ছাত্রছাত্রীরা স্কু‌লে আস‌ছে। মূলত বাঁশের পু‌ল পার হওয়ার ভয়েই শিক্ষার্থীরা বিদ‌্যাল‌য়ে আস‌তে চায় না।