সেন্টমার্টিনের বিষয়ে যা বললেন পর্যটন উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের প্রবেশ সীমিত করার কারণে সেখানে পর্যটনে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ পরিদর্শনের পর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক কিছুর ক্যাপাসিটি থাকে। কিন্তু সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। ক্যাপাসিটির বাইরে পর্যটক যাওয়ার কারণে এখানে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন এটাকে সীমিত রাখা ঠিক হবে। কারণ দ্বীপটা বাঁচাতে হবে। অনেক দেশে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে তারা নম্বর নিয়ন্ত্রণ করে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
উপদেষ্টা বলেন, ‘এরই মধ্যে সেন্টমার্টিনে বহু সংখ্যক পর্যটক যাওয়ার কারণে অনেক ড্যামেজ হয়েছে। এখন সেটাকে সীমিত রেখে আমরা ম্যানেজেবল পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। যাতে ঠিক যে পরিমাণ টুরিস্ট সেন্টমার্টিনের নেওয়ার ক্যাপাসিটি হবে, ততটুকুই যাওয়া বাঞ্ছনীয়।’
সেন্টমার্টিনের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দ্বীপটির বেশি সংখ্যক পর্যটক যাতায়াতের ফলে প্লাস্টিকের ব্যবহার বৃদ্ধিতে প্রবালগুলো ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে চলে গেছে। ফলে পর্যটক সীমিত করে এই দ্বীপকে সংস্কারের উদ্যোগ নেবে সরকার।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটক ব্যবসায়ীদের কোনো পুনর্বাসন করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হাসান আরিফ বলেন, ‘যারা সেখানে টুরিস্ট অপারেট করছেন বা যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছেন, তারা যাওয়ার আগে কোনো সার্ভে করেছিলেন? এখানে কতজন ট্যুরিস্টের ধারণক্ষমতা রয়েছে, তা তারা সার্ভে করেননি। যদি বিকট শব্দে গান শুনি সেটা যেমন এন্টারটেইনমেন্ট হয় না, তেমনি আমি দলবেঁধে গেলাম, মাইকে গান শুনলাম- এটা ট্যুরিজম হলো না।’