ড. ইউনূসকে নিয়ে যা বললেন শফিক রেহমান
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, ‘আমি ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তিনি দেশে টাকা আনছেন। আর যারা নির্বাচন চাচ্ছেন তাদের দুটি কথা বলতে হবে। টাকা আসবে কোথা থেকে? টাকা না আসলে বেতন পাবেন না, জিনিসপত্রের দাম কমবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় মামলায় জামিন নিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিক রেহমান বলেন, ‘ড. ইউনূস একজন খ্যাতিমান লোক, তার আবেদনে সাড়া দিয়ে অনেকেই দিচ্ছেন। সুতরাং ড. ইউনূসকে আপনারা যেতে দেবেন না। তাকে ধরে রাখুন, কাজ করতে দিন। ১৭ বছরের জঞ্জাল ১৫ মাসেও পরিষ্কার করা সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মামলার বিষয়ে খ্যাতিমান এ সাংবাদিক বলেন, ‘এখানে একজন অনভিপ্রেত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যার নাম সজীব ওয়াজেদ জয়। আমি তার নাম উচ্চারণ করতে চাচ্ছিলাম না। তার অপহরণ মামলায় আজকে আমি এখানে। যা তথাকথিত একটা মামলা। যেটা নিউইয়র্কে ডিসমিস করা হয়েছে। নিউইয়র্কে বলে দেওয়া হয়েছে এই মামলায় শফিক রেহমানের নাম যেন কোথাও না থাকে। সে মামলার সারসংক্ষেপ ও কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমার আইনজীবীরা আপনাদের দেখাতে পারবে। আমার নাম আমেরিকাতে নাই, যেখানে ১০ হাজার মাইল দূরে মামলা হয়েছিল।’
শফিক রেহমান বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) আমি চ্যালেঞ্জ দিতে চাই। আপনারা খুঁজে বের করুন সজীব ওয়াজেদ জয় কীভাবে এবং কেন আমেরিকা গিয়েছিল? আপনারা খুঁজে বের করুন আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসার সামনে মধ্যরাতে জনতা ব্যাংকের একজন স্টাফ কীভাবে পিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল। কে গাড়ি চালাচ্ছিল এবং সে কোথায় এখন? এইটা আপনারা খুঁজে বের করুন, তাহলে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
দৈনিক যায়যায়দিনের সাবেক এ সম্পাদক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে কেন? মামলা হওয়ার কথা তার বিরুদ্ধে, যিনি জনতা ব্যাংকের একজন স্টাফকে পিষ্ট করে মেরেছে। আমি তার নাম নিতে চাচ্ছিলাম না। তারপরও বারবার এসে যাচ্ছে। সে কীভাবে এবং কেন আমেরিকা যেতে হয়েছিল এইটা আপনারা জানতে চান।’