হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু
রাজধানীর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত যুবদলের নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০)মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে ৪ টা ১০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাজারীবাগের ভাগলপুর লেন এর মৃত হাজী আফতাব উদ্দিন এর ছেলে জিয়া। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।
নিহতের ভাগনী নাফিসা আক্তার ঢামেক মর্গে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার মামা জিয়া ঠিকাদারি ব্যাবসা করতেন এবং হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।ঘটনার দু'দিন আগে খুনিরা একই এলাকার একটি ছেলে কে মারধর করে। বিষয়টির প্রতিবাদ করে ছিলেন নিহত জিয়া'র ভাগিনা এলহাম। এতে তারা এলহামের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে এলহাম আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম বিরোধের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, খুনিদের ধারণা ছিল জিয়া'র ইন্দোনে তারা এসব করেছিল। এ সমস্ত ঘটনা কে কেন্দ্র করে একই এলাকার রিপন,মাসুদ, সুমন, বিল্লাল সহ আরও বেশ কয়েকজন মামা জিয়ার উপর হামলা করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খুনিরা এলাকার বকাটে সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিত হলো মামার। আমরা এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর রাতে হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ এলাকায় একটি মিলাদ মাহফিল শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
হাজারীবাগ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল আলম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা যান।
তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।