কেন নীতি বদলালেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
কেন নীতি বদলালেন বাইডেন

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালাতে এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে এ ধরনের হামলায় ওয়াশিংটনের সায় ছিল না। মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে কিয়েভকে হামলা চালানোর অনুমতি ইউক্রেন যুদ্ধের আরও সম্প্রসারণ ঘটাতে পারে।

এখন ওয়াশিংটনের নীতি পরিবর্তনের বড় কারণ হতে পারে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কুরস্ক অঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে উত্তর কোরীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এসব সেনা যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করছে। ওই অঞ্চলটি গত আগস্ট থেকে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে কুরস্কের এক হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা দখলে রেখেছে ইউক্রেনের বাহিনী। এখন তারা ওই অঞ্চলের চারপাশে হামলা চালাতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিয়েভে নিযুক্ত একজন পশ্চিমা কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, এটা যুদ্ধের নির্ণায়ক হবে। তবে এতে রাশিয়ার যুদ্ধব্যয় আরও বাড়তে পারে।’

বাইডেন প্রশাসনের এতদিন একটাই ভয় ছিল, রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে দিলে যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এ বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন। এর আগে তিনি বলেন, পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলার ঘটনাকে মস্কো-ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো দেশগুলোর ‘সরাসরি অংশগ্রহণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

ন্যাটোয় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত কুর্ট ভলকার বলেছেন, যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের পরিসর সীমিত রেখে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন অযৌক্তিকভাবে ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় একতরফা বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। এই কূটনীতিক আরও বলেন, এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত ‘পুরোপুরি স্বেচ্ছাচারী’ এবং রাশিয়াকে উসকানি না দেওয়ার আশঙ্কা থেকে করা হয়েছিল।

রাশিয়ার গভীরে হামলা করতে দূরপাল্লার মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে ওয়াশিংটনের অনুমতি পেয়েছে ইউক্রেন। এই সিদ্ধান্ত যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো একটি মুহূর্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডা। তিনি বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সিদ্ধান্ত ছিল। রাশিয়া বুঝতে পারছে, পশ্চিমা বিশ্বের অবস্থান দৃঢ় ও অটল। আর ইউক্রেন শক্তিশালী সমর্থন পাচ্ছে। এটি যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ, হয়তো ফল নির্ধারক মুহূর্তও হতে পারে।’