বাড়িতে মুরগি যাওয়ায় প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা
শরীয়তপুরের জাজিরায় মুরগি নিয়ে বিরোধের জেরে নজরুল মাদবর (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে নিহত নজরুলের বাবা লতিফ মাদবর (৭৫) ও ছোট ভাই সুমন মাদবর (৩৫) আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুলের মৃত্যু হয়। শনিবার বিকেলে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন এ তথ্য জানান।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে জাজিরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম আড়াচন্ডি গ্রামে মুরগি নিয়ে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাজিরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম আড়াচন্ডি গ্রামে নজরুল মাদবরের বাড়ির মুরগির বাচ্চা প্রতিবেশী বোরহান মাদবরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ তাদের মধ্যে বেধে যায়। এ সময় বোরহান মাদবরের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় আবু সালাম মাদবর, জলিল মাদবর, রাজন মাদবর ও মনু মাদবর ধারালো অস্ত্র নিয়ে নজরুল মাদবরের ওপর হামলা চালান। এ সময় নজরুলের বাবা লতিফ মাদবর ও ভাই সুমন ছাড়াতে গেলে নজরুলসহ তার বাবা ও ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নজরুল মাদবর ও সুমন মাদবরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের দুই ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের বাবা লতিফ মাদবরকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়। আজ শনিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নজরুল মাদবরের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বাড়ির বাচ্চা মুরগি বোরহান মাদবরের বাড়িতে গেলে বোরহান মাদবর আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে কয়কজনে মিলে গালিগালাজ শুরু করে। তার প্রতিবাদ করার কারণে আমার স্বামীর ওপর তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে। তখন আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে ওরা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর আমার দেবর ও শ্বশুর আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন বলেন, মুরগি নিয়ে বিবাদের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে নজরুল মাদবর, সুমন মাদবর ও তাদের বাবা লতিফ মাদবর আহত হন। পরে তাদের জাজিরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নজরুল ও তার ভাই সুমন মাদবরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ (শনিবার) সকালে ঢামেক হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
