টেকনাফে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে ১ লাখ ইয়াবা, ১টি একনলা বন্দুক ও ১ রাউন্ড গুলিসহ মো. নুর রশিদ (২৫) নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি। ওই সময় পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি নৌকাও জব্দ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব দিকে আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
ধৃত রোহিঙ্গা যুবক টেকনাফের হ্নীলা ইউপির লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-এ/১৩ এর বাসিন্দা মৃত সলিমুল্লাহর ছেলে।
এ প্রসঙ্গে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদে বিজিবি জানতে পারে আনোয়ার প্রজেক্ট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র একটি দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত সোয়া ৯টায় টহলদল তিনজন লোককে একটি কাঠের নৌকাযোগে সীমান্তের শূণ্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেওড়া বাগানের দিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীদের মধ্যে নৌকায় থাকা ২ জন নাফ নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যান এবং অপর ১জন চোরাকারবারীকে টহলদল নৌকাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। পরে টহলদল নৌকাটি তল্লাশী করে ধৃত চোরাকারবারীর কাছ হতে ১টি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ১ রাউন্ড গুলি এবং নৌকার পাটাতনে রক্ষিত দুইটি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ১ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে। এছাড়াও অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে কাঠের নৌকাটিও জব্দ করা হয়। পরে আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করে দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার হতে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচার করে আসছেন।
এছাড়াও ধৃত মো. নুর রশিদ ওই ক্যাম্পের আবুল কালাম ডাকাত দলের একজন স্বক্রিয় সদস্য হিসেবেও বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিব)’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আটককৃত আসামিকে জব্দ ইয়াবা, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও নৌকাসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টটেকনাফ থানায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।