জিরো পয়েন্ট দখলে নিয়ে সমাবেশ করছে ছাত্র-জনতা
রাজধানীর নূর হোসেন চত্বর তথা জিরো পয়েন্ট দখলে নিয়ে সমাবেশ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে ডাকা ছাত্র-জনতার এ গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয় আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের মূল সড়কে চলছে এ কর্মসূচি।
আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির প্রতিবাদে সকাল থেকে নূর হোসেন চত্বর ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ফেসবুক পেজে জিরো পয়েন্ট এলাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত পল্টন, জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্থান এলাকায় তাদের নেতাকর্মীদের কোনো অবস্থান দেখা যায়নি। উল্টো সমাবেশ প্রতিহত করার জন্য কিছু সময় পরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এখানে আসছেন। তারা মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানে জানান দিচ্ছেন নিজেদের অবস্থান।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
দুপুর ১২টার দিকে গণজমায়েত কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম উপস্থিত হন।
কর্মসূচির শুরুতেই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সরেজমিন দেখা যায়, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় ‘আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত’সহ নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশকে। সচিবালয় রোডের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের উপস্থিতি রয়েছে। পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানও রাখা হয়েছে সেখানে।
উল্লেখ্য, শহীদ নূর হোসেন দিবসকে সামনে রেখে গতকাল কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে নূর হোসেন চত্বর ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই দলটির ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়। গতকাল ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
একইভাবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এক ফেসবুক পোস্টে হুঁশিয়ারি দেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজপথে কোনো মিছিল-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।