রঙিলা কিতাব কেমন লাগল দর্শকের কাছেই শুনতে চাই: অনম বিশ্বাস

বিনোদন সময় ডেস্ক
০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
রঙিলা কিতাব কেমন লাগল দর্শকের কাছেই শুনতে চাই: অনম বিশ্বাস

‘আয়নাবাজি’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চঞ্চল চৌধুরী-জয়া আহসানের ‘দেবী’ পরিচালনা করে হয়েছেন প্রশংসিত। তিনি অনম বিশ্বাস। এবার পরীমণিকে নিয়ে নির্মাণ করলেন ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আজ মুক্তি পাচ্ছে। এই ওয়েব সিরিজ, বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য কাজ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- তারেক আনন্দ

‘দেবী’র পর দর্শকদের উপহার দিলেন ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। সিরিজের গল্প কী বই থেকে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে?

আমরা বই থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসে নিজেদের মতো করে সাজিয়েছি বইয়ের মূল ভাব ঠিক রেখে। ‘রঙিলা কিতাব’ উপন্যাসে প্রদীপ আর সুপ্তির ঘটনা মূল উপন্যাসে একটা সাবপ্লট; আমাদের ওয়েব সিরিজে ওদের জার্নিটাই মূল গল্প। তার জন্য যা যা দরকার সেগুলো করা হয়েছে।

‘দেবী’র বইয়ের গল্পের সঙ্গে পর্দার গল্পে ফারাক ছিল। এখানে কতটা পরিবর্তন করা হয়েছে?

হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ নিয়ে কাজ করার সময় মিসির আলী নিয়ে ভক্তদের পক্ষ থেকে একটা দাবি উঠেছিল। তা হলো, মিসির আলীর দাড়ি নিয়ে। দাড়ি না থাকলে দর্শকরা এটা মানবে না। এই কথা শুনে আমি টেনশনে পড়ে গেলাম। কারণ আমাদের মিসির আলী চঞ্চল ভাইয়ের দাড়ির ঘনত্ব যতখানি, তাতে সেটাকে অনেকে হয়তো ‘মিসির আলীর দাড়ি’ বলে নাও মেনে নিতে পারেন। যাই হোক, তারপর আমরা অভিনেতার যতটুকু দাড়ি আছে সেটাতেই থাকলাম, নকল দাড়ি পরানো হলো না। এমন একটা ফিলিং থেকে যে মিসির আলী মেকাপ না নিক, সে যা তাই-ই। বইতে মিসির আলী থাকেন কাঁঠাল বাগান ঢালে আর আমাদের মিসিরকে সেট করা হলো বেগুন বাড়ি বস্তিতে। তার মানে ভিজুয়ালি তো বইকে ইন্টারপ্রেট করার পুরো স্বাধীনতাই থাকে। কিন্তু ঘটনাগুলো বা নতুন ঘটনায় ডায়লগ লেখার সময় সেনসিটিভলি করা দরকার। এমন কিছু করা ঠিক না, যাতে মনে হয় এই বই অ্যাডাপ্ট না করে একবারে নতুন কিছু ভাবলেও তো হতো। আমি নিজে হুমায়ূন আহমেদভক্ত, তাই তার স্টাইল কপি করে ডায়লগ লিখতে বা ঘটনা ভাবতে আমার মজা লাগে। আর কিঙ্কর আহসানের ‘রঙিলা কিতাব’Ñ কতটা ভালো নির্মাণ করেছি, কেমন হলো, সেটা দর্শকের কাছ থেকেই শুনতে চাই।

‘রঙিলা কিতাব’- আপনার মনমতো বানাতে পেরেছেন?

ভালো না খারাপ, আমি জানি না। স্বরূপকাঠি এত সুন্দর একটা এলাকা। ওইখানে আরও দুইটা দিন শুট করতে পারলে আরও ভালো হতো। নৌকার বাজার, ফলের বাজার এগুলো নেওয়া যেত। এখন এটা মনে হচ্ছ। আমরা প্রচণ্ড স্পিডে শুট করি, না হলে হয় না। সেদিক থেকে কিছুটা অসন্তুষ্টি থেকেই যায়। ছোট ফাইট সিন আছে দুই একটা, ওগুলোতেও আর সময় দিতে পারলে একটু অন্যরকম হতো।

পরীমণির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

দারুণ, খুব ট্যালেন্টেড। মানসিকভাবে ক্যারেক্টারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছে এবং প্রিপারেশন নিয়েছে। পরীর ওজন বাড়িয়েছে। ইমরানও প্রচুর খেটেছে ডায়লগুলোর ভেতর কিছুটা লোকাল টোন এনেছে। শুটিংয়ের পুরো সময়টা খুব ঝক্কির ছিল, তারা এক সেকেন্ডের জন্যও ধৈর্য হারায় নাই।

‘আয়নাবাজি’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। নতুন সিনেমার চিত্রনাট্যে নাকি দেড় বছর সময় দিয়েছেন? সেই সিনেমার কী খবর।

শুটিং শেষ, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। সামনের বছর ২০২৫ সালে সিনেমাটা মুক্তি পাবে। আরিফিন শুভ-নুসরাত ফারিয়া ছাড়াও একঝাঁক তরুণ এই সিনেমায় কাজ করছেন। নাম ‘ঠিকানা বাংলাদেশ’; ওয়ার্ক টাইটেল ছিল ফুটবল ৭১। ইতিহাস ও তথ্যনির্ভর কাজ, সে কারণে চিত্রনাট্যে এত সময় দিয়েছি।

এখন আর কী কী কাজ করছেন?

মিনিস্টি অব লাভ প্রজেক্টের ‘শোল্ডারম্যান’ নামে একটা ওয়েব ফিল্মের কাজ করছি। ওইটার গল্প ডেভেলপ করা হচ্ছে। আরও কিছু কনটেন্ট নিয়ে কথা হচ্ছে। ওগুলো সামনে পাবেন দর্শকরা।