জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ৫টি এলাকার অভিযোজন নিয়ে কাজ করবে ইউএনডিপি

অনলাইন ডেস্ক
০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২৪
শেয়ার :
জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশের ৫টি এলাকার অভিযোজন নিয়ে কাজ করবে ইউএনডিপি

বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)’র সহায়তায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ ২৯-কে সামনে রেখে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ‘ইন্টেগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন ইন্টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েজ অব বাংলাদেশ’ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার আওতায় দেশের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ পাঁচটি কৃষি ইকোলজিক্যাল জোনে, ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কাজ শুরু করবে।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।

মোঃ শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশে, আমরা প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছি, যেমন এই বছরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বন্যা। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার সহ অন্যান্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যদি এখনই আমরা পদক্ষেপ না নিই, তাহলে এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’

স্টেফান লিলার তার বক্তব্যে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন জনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দরকার স্থানীয় সমাধান। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমরা স্থানীয় জনগণ ও স্থানীয় সরকারের জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে কাজ করছি যা এসডিজি বাস্তবায়নে সাহায্য করছে।’

‘ইন্টেগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন ইন্টু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েজ অব বাংলাদেশ’ এই উদ্যোগটি স্থানীয় সরকার এবং জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোকে ‘স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’ তৈরিতে সহায়তা করবে এবং স্থানীয়দের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তা, ইউএনডিপির প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।