মার্কিন নির্বাচন বিশ্বের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ
আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রভাবশালী দেশ হওয়ায় গোটা বিশে^র নজর এখন সেদিকেই। হোয়াইট হাউসের নতুন বাসিন্দা কে হতে চলেছেনÑ ট্রাম্প নাকি কমলা? এটি শুধু নিছক একটি প্রশ্ন নয়; এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিশে^র নানা ঘটনাবলি। অর্থনীতি, রাজনীতি, জলবায়ু, অভিবাসনসহ অনেক কিছুর ওপরই প্রভাব ফেলে মার্কিন নীতি।
এ নির্বাচন এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েল। আর এখন শুধু গাজা নয়, যুদ্ধের বিস্তার হয়েছে লেবানন, সিরিয়া ও ইরানেও। প্রকৃতপক্ষে গাজা যুদ্ধ এখন আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নিতে যাচ্ছে। যদিও ট্রাম্প ও কমলা দুই প্রার্থীই গাজা ইস্যুতে প্রায় একই নীতি অবলম্বন করে থাকেন। তার পরও দেখা যাচ্ছেÑ গাজা যুদ্ধ কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে আরব ভোটাররা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সর্বশেষ গতকাল কমলা হ্যারিস বলেছেন, তিনি জয়ী হলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেবেন। তবে এ অঙ্গীকার যে ভোটারদের মন রক্ষার জন্য তাও আঁচ করা যায়। কেননা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নানা সময় চলমান যুদ্ধে অস্ত্রবিরতির কথা বলেছেন, কিছু নির্বাচন এসেই গেলে তার অস্ত্রবিরতি আর কার্যকর হলো না।
অন্যদিকে ট্রাম্প সম্ভবত ইসরায়েলিদের গাজায় ইহুদি বসতি স্থাপনের অনুমোদন নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হবেন না। তিনি বরং ইরান বিষয়ে অনেক বেশি কঠোর কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
৬০০ দিন পর কারামুক্ত কাশ্মীরের সাংবাদিক
এ নির্বাচন রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ইউক্রেনীয় উদ্বিগ্ন যে ট্রাম্প রাশিয়াকে পছন্দ করে। ফলে হয়তো ইউক্রেনকে দ্রুত শান্তিচুক্তির জন্য চাপ দিতে পারেন। তবে তারা উদ্বিগ্ন যে কমলার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
এ দিকে যে-ই জিতুক, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেবেন। তবে বেইজিংয়ের লোকজন বিভক্ত হয়ে আছেন কোন প্রার্থী চীনের জন্য ভালো হবে তা নিয়ে। চীনা অর্থনীতিবিদরা উদ্বিগ্ন। আফ্রিকার মানুষ কমলা ও ট্রাম্পের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। যদিও ট্রাম্প আফ্রিকার দেশগুলোকে বর্বরভাবে অপমান করেছেন। তবু কিছু লোক তাকে এক শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখেন।