আওয়ামী লীগের এত নেতাকে পালাতে কারা সহযোগিতা করল, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫০
শেয়ার :
আওয়ামী লীগের এত নেতাকে পালাতে কারা সহযোগিতা করল, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এতো অপরাধ করে পালিয়ে গেলেন, এদেরকে পালিয়ে যেতে কারা সহযোগিতা করল। এ ব্যাপারে জুলাই বিপ্লবে যেসব ছাত্র-জনতা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে; আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেছে স্বাধীনতা ফোরাম। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ আরও অনেকে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানেননি, এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাত না। তাহলে কারাগারে থাকত। আবার তাকে পালাতে দিবে কেন? এটাই তো প্রশ্ন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এত অপরাধ করে পালিয়ে গেল, এদেরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করল? এ ব্যাপারে জুলাই বিপ্লবে যেসব ছাত্র-জনতা নেতৃত্ব দিয়েছেন,তাদের মতামত জানতে ইচ্ছে করছে।

ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের গঠন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। এই যে বলছেন, ‘‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করেন, এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট করুন।” আমার প্রশ্ন বিএনপি কি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়? দেশের জনগণ কি চায়? তারা নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনে না।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করল আরও সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লেখে তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্যাতন এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল? তারাই বাহাত্তরের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। গত ৫২ বছরে আওয়ামী লীগের মত সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই।’