‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির গোপন কোনো চুক্তি আছে?’
ভারতের ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে জড়িয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার সেই আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছেন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আর তাতেই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি।
গড়ওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে এক জনসভায় হেমন্ত বলেছেন, ‘আমি জানতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে বিজেপির তলে তলে কোনো চুক্তি আছে কি না। অনুগ্রহ করে আমাদের জানানো হোক, কীসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের মাটিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
‘বিজেপি নিজেই বলছে, তাদের শাসিত রাজ্য দিয়েই অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে আসছে’, যোগ করেন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ওই দেশটিতেই অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
হাসিনার অবস্থান নিয়ে বিজেপি সরকার জানায়, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের আবহে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। সেই মতো তাকে আপাতত এখানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার একের পর এক মামলায় শেখ হাসিনার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই আবহে তারা হাসিনাকে ভারত থেকে নিজেদের দেশে ফেরানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। এরই মাঝে এবার ভারতীয় ঘরোয়া রাজনীতিতে হাসিনা প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে তোপ দাগল জেএমএম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে ঝাড়খণ্ডে প্রচারে এসে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ওই সময়ে অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নেবে এবং তাদের দেশ থেকে বিতারিত করার জন্য কঠোর আইন করবে।
তবে অমিত শাহকে পাল্টা প্রশ্ন রেখে হেমন্ত বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে।’ সুতরাং সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ ঠেকানো কেন্দ্রের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে রাজ্যছে এবং জমি দখল করে নিচ্ছে।