জীবিত থেকেও ভোটার তালিকায় মৃত
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সামনা বেগম নামে (৬৭) জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে ওয়েবসাইটে মৃত। তিনি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: ওমর ফারুকের মা, ও পেরিয়া ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আজ রবিবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে সামনা বেগমের ভোটার তালিকায় মৃত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ ব্যাপারে সামনা বেগম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে একটি আবেদন করতে সমাজ সেবা অধিপ্তরে যাই। তখন ডাটা এন্ট্রি অনলাইনে ইনপুট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একাধিকবার চেষ্টা করেও জাতীয় পরিচয়পত্রটি ইনপোর্ট দেয়া সম্ভব হয়নি।’
নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: ওমর ফারুক বলেন, ‘তার মা সামনা বেগম জীবিত রয়েছেন। অলনাইনে আবেদন করতে গেলে সকল তথ্য দেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিতে গেলে বাধে বিপত্তি। যাচাই বাছাইতে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আসার পর কর্মকর্তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার তাদের সার্ভারে যাচাই করতে গিয়ে দেখেন তিনি মৃত।’
এ প্রসঙ্গে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আজ রবিবার সামনা বেগম উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসে ফিঙ্গার-প্রিন্ট ও উপজেলা প্রশাসক থেকে জীবিত থাকার একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়ে গেছে। তার সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা হবে।’
তিনি আরও জানান, তিনি আসার আগে সামনা বেগমকে ৩ জুলাই ২০২০ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় নতুন ভোটার ও মৃত ভোটারদের তথ্য বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করা হয়। যারা কাজটি করেছেন, সম্ভবত তারাই ভুল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তির বিধান রয়েছে।
এদিকে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ‘জীবিত লোককে যারা মৃত করেছেন। তাদেরকেই সংশোধন করতে হবে। আমার কাছে আসার পর আমি জীবিত থাকার প্রত্যায়নপত্র দিয়েছি। আগামীতে কেউ যেন এমন হয়রানির শিকার না হয়।’