মনের বয়স বাড়তে না দিলেই হয়
শুভ জন্মদিন মৌসুমী
প্রিয়দর্শিনী মৌসুমীর জন্মদিন আজ। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মৌসুমী। ২০ বছর বয়সে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়ে দেশের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম ছবিতে নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। অভিনয়ের পাশাপাশি গান গাওয়া, ছবি পরিচালনা এবং প্রযোজনাও করেছেন মৌসুমী। সালমান শাহ ছাড়া ওমর সানীর সঙ্গেও তার জুটি জনপ্রিয় হয়েছিল। এর পর তারা বিয়ে করেন। মৌসুমী ও ওমর সানীর সংসারে রয়েছেন দুই সন্তান ফারদীন ও ফাইজা। এখনো পূর্ণ উদ্যমেই কাজ করে চলেছেন মৌসুমী। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে উপহার দিয়েছেন অনেক ব্যবসাসফল ছবি। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর সম্মানও। মৌসুমী এবারও তার জন্মদিন উদযাপন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। গেল বছর অক্টোবর মাসে তিনি নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ কোনো আয়োজন রাখেননি।
বয়স কত হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে মৌসুমী বলেন, ‘বয়স আমি গণনার মধ্যে রাখি না। তা হলে মনে হবে, আমার আর প্রয়োজন নেই, মারা যাব। আমার কাছে বয়স শুধুই একটা সংখ্যা। যতক্ষণ দায়িত্বজ্ঞান আছে, কাজ করে যাব। ভেতরকার চঞ্চলতা একই রকম থাকবে। মনের বয়স বাড়তে না দিলেই হয়।’ জন্মদিনের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে এবার বিশেষ কোনোই পরিকল্পনা নেই। আমার একমাত্র কন্যা ফাইজার ইচ্ছে আমি যেন ঘরেই থাকি। শুধু তাকেই সময় দিই। তাই ফাইজাকেই সময় দেব। যদি সময়-সুযোগ হয়, আশপাশে ফাইজাকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হব। বাসায় আমি নিজের হাতেই রান্না করব। একটা কেকও বানাব। সঙ্গে ফাইজার নানি ও খালামণি (স্নিগ্ধা) আছে। তাদের নিয়েই জন্মদিনের সময়টা নিজের মনের মতো করেই কাটানোর চেষ্টা করব। মিস করব সানী আর ফারদীনকে। তারা এই মুহূর্তে সঙ্গে থাকলে হয়তো সময়টা আরও অনেক বেশি ভালো লাগার, আনন্দের হয়ে উঠত। আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। ভক্ত-দর্শকসহ সারা দেশবাসীর কাছে আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই।’
কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বলেন, ‘যখন সময় হবে তখনই ফিরব। এরই মধ্যে দেশে একটাবার ঘুরে আসার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু শেষমেশ আর দেশে আসা হলো না। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হলে দেশে ফেরার ইচ্ছে আছে। বাকিটা আল্লাহ জানেন।’ সামনে আরও অনেক কিছু করার আছে মন্তব্য করে মৌসুমী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিই সামাজিক কাজকে। এটাতে আনন্দ পাই। সন্তানদের বাইরে বড় স্বপ্নের মধ্যে মৌসুমী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা। সুন্দর একটা বৃদ্ধাশ্রমও করতে চাই। এগুলো করতে পারলে নিজেকে অনেক সফল মনে হবে। আর যদি না-ও করতে পারি, আমার অবর্তমানে কেউ না কেউ করবে।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
মৌসুমী অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘দোলা’, ‘আত্ম অহংকার’, ‘স্নেহ’, ‘দেনমোহর’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘মাতৃত্ব’, ‘দেবদাস’, ‘বিশ^প্রেমিক’, ‘সুখের ঘরে দুখের আগুন’, ‘গরীবের রানী’, ‘প্রিন্সেস ডায়না’, ‘আম্মাজান’, ‘লুটতরাজ’, ‘বউয়ের সম্মান’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘ইতিহাস’, ‘ লাল দরিয়া’, ‘তারকাঁটা’, ‘খায়রুন সুন্দরী’, ‘মোল্লাবাড়ির বউ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’ ইত্যাদি। তার পরিচালিত
সিনেমা দুটি। একটি ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ অন্যটি ‘মেহেরনিগার’। ‘মেঘলা আকাশ’, ‘দেবদাস’ ও ‘তারকাঁটা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য মৌসুমী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ফের জুটি হলেন মম-শ্যামল