পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে কেনাকাটায় তুঘলকি
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে মালামাল কেনাকাটায় এক কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩৬ টাকা খরচ করা হয়েছে। এসব মাল কখনো কোনো কাজেই লাগেনি। এমনকি প্রকৃত চাহিদার তুলনায় ৪০ গুণ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি পরিমাণ কেনা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাজারের দামের তুলনায় অস্বাভাবিক দামে মালামাল কেনা হয়েছে। যেমন- তোশিবা ব্র্যান্ডের একটি ডিজিটাল ফটোকপিয়ার মেশিন কেনা হয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকায়, অথচ প্রকৃত দাম এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। সাড়ে ৪১ হাজার টাকার প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকায়। ৯১ হাজার টাকার জেনারেল ব্র্যান্ডের দেড় টনের এসি কেনা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকায়। ২০২০-২১ অর্থবছরে অডিট প্রতিবেদনে সরকারি কেনাকাটায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
অডিট প্রতিবেদনে দেখা যায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক এবং প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তরগুলোয় ২০২০-২১ অর্থবছরে যথাযথভাবে দাপ্তরিক প্রাক্কলন এবং কারিগরি বিনির্দেশ ছাড়াই প্রকৃত বাজারদর অপেক্ষা অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যে অফিস সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। ক্রয়সংক্রান্ত নথি ও চুক্তিপত্রগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফটোকপি মেশিন, টোনার, প্রজেক্টর, এসি, স্টারলাইট আইপি বেইজড ডিএসপি সিসিটিভি ক্যামেরা, ফাইভ এমপি আইপি বেইজড ক্যামেরা এবং কেন্ট রিপ্লেসমেন্ট কিটসহ অন্যান্য পণ্য কেনার ক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলন করা হলেও তা যথাযথ হয়নি। অডিটে ধরা পড়েছে, স্টারলাইট আইপি বেইজড ডিএসপি সিসিটিভি ক্যামেরার ক্রয়মূল্য ছিল ২০ হাজার টাকা; কিন্তু এটির প্রকৃত বাজারদর মাত্র ৪ হাজার ৫৫০ টাকা। ফাইভ এমপি আইপি বেইজড ক্যামেরা একেকটি কেনা হয়েছে ২২ হাজার ৭৯০ টাকায়। কিন্তু বাজারদর মাত্র ৩ হাজার ৫৩০ টাকা। একইভাবে কেন্ট রিপ্লেসমেন্ট কিট কেনা হয়েছে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা দরে। কিন্তু প্রকৃত মূল্য মাত্র ১ হাজার ২০০ টাকা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক বা সিসিএম কার্যালয় মালামাল কিনতে ২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে। প্রতিটি কিট কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ টাকা, যার প্রকৃত মূল্য ১২০০ টাকা। বাজার মূল্যের সঙ্গে ভ্যাট, আয়কর, পরিবহন
খরচ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফাসহ প্রতিটি কিনতে খরচ হওয়ার কথা ১ হাজার ৬৮০ টাকা। কিন্তু ছয়টি কিটেই অতিরিক্ত ১১ হাজার ৩৪০ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে। একইভাবে ১ হাজার ২৮৮ টাকার মেমব্র্যান্স কেনা হয়েছে ২ হাজার ৮৬০ টাকায়।
লালমনিরহাটের বিভাগীয় ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে কেনাকাটার জন্য ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫০টি প্রিন্টার টোনার কেনা হয়। ঠিকাদারের মুনাফাসহ প্রতিটির দাম পড়ার কথা ৭০০ টাকা। কিন্তু কেনা হয়েছে ৫ হাজার ১৯০ টাকা দরে। ৫০টি টোনার কিনতেই লুট হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। একই তারিখের চুক্তিপত্রে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮০ টাকায় একটি তোশিবা ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ার মেশিন কেনা হয়। অথচ এর প্রকৃত মূল্য ৬১ হাজার টাকা আর ঠিকাদারের মুনাফাসহ খরচ পড়ার কথা ৮৫ হাজার ৪০০ টাকা। একটি ফটোকপিয়ার মেশিন কিনতেই ৫৯ হাজার ৫৮০ টাকা অতিরিক্ত বিল তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিলের চুক্তি অনুযায়ী পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তরে ম্যাক্সেল ব্র্যান্ডের তিনটি প্রজেক্টর কেনা হয়। প্রতিটি প্রজেক্টর কেনা হয়েছে ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা দওে, তবে প্রকৃত মূল্য ৫৫ হাজার টাকা। ভ্যাট, আয়কর ও ঠিকাদারের মুনাফা হিসেবে এর দাম পড়ে ৭৭ হাজার টাকা। ফলে তিনটি প্রজেক্টরেই অতিরিক্ত ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একইভাবে রিগ্যাল ব্র্যান্ডের ১৪টি স্টিলের আলমারি কেনা হয়। প্রতিটি আলমারির মূল্য ৩৪ হাজার ৫৮০ টাকা। কিন্তু কেনা হয়েছে ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা দরে। ২১ হাজার ৬১৩ টাকার স্টিলের ফাইল কেবিনেট ২৫ হাজার ৫০০ টাকায় এবং ৯১ হাজার টাকার জেনারেল ব্র্যান্ডের দেড় টনের এসি ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। এ ছাড়া এইচপির স্ক্যানার মেশিন ৩৭ হাজার টাকায় কেনা হয়। যার প্রকৃত দর ২৮ হাজার টাকা। একেকটি কালার প্রিন্টার কেনা হয়েছে ৪৭ হাজার টাকা দরে। অথচ এগুলোর মূল্য ২৯ হাজার ৪০০ টাকা।
অডিট প্রতিবেদন বলছে, পশ্চিমাঞ্চলের সিএসটিই কার্যালয়েও কেনাকাটার নামে সরকারি অর্থ লুটপাট হয়েছে। তোশিবা ব্র্যান্ডের একটি ডিজিটাল ফটোকপিয়ার মেশিন কেনার জন্য ২০২১ সালের ২৫ মার্চ চুক্তি করা হয় মেসার্স যমুনা ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ওই ফটোকপি মেশিনটি কেনা হয়েছে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। অথচ বাজারে প্রকৃত দাম মাত্র ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আর ভ্যাট, ট্যাক্স ও ঠিকাদারের মুনাফাসহ দাম পড়ার কথা ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এক মেশিনেই ৬৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। দুটি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর কেনার ক্ষেত্রেও একই কাজ করেছে এ কার্যালয়টি। এসএম আকিল আলী নামে ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রজেক্টর সরবরাহ নেওয়া হয়। প্রতিটি প্রজেক্টর কেনা ৮৩ হাজার ৯০০ টাকায়। অথচ বাজারে দাম ৪১ হাজার ৫০০ টাকা। এভাবে দুটি প্রজেক্টর কিনতে অতিরিক্ত ৫১ হাজার ৬০০ টাকা বিল করা হয়েছে।
রেলের পাকশীর ডিএসটিই অফিসে ৯০টি সিসি ক্যামেরা কেনায় ঠিকাদারকে অতিরিক্ত পরিশোধ করা হয়েছে ১২ লাখ ৭১ হাজার ৬০ টাকা। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা গেছে- নাটোর, জয়পুরহাট এবং আক্কেলপুর স্টেশনের ৭০টি স্টারলাইট আইপি বেইজড সিসি ক্যামেরা সরবরাহ করেছে মেসার্স এমএম টেকনোলজি অ্যান্ড ট্রেডিং নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৪০টি সিসি ক্যামেরার প্রতিটির দাম দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার টাকা করে। অথচ বাজারে এর দাম ৪ হাজার ৫৫০ টাকা মাত্র। এ ছাড়া ২০টি ফাইভ মেগাপিক্সেল আইপি বেইজড সিসি ক্যামেরা প্রতিটি কেনা হয়েছে ২২ হাজার ৭৯০ টাকা করে। তবে বাজারে এসব ক্যামেরার দাম ৩ হাজার ৫৩০ টাকা।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে সিএনএস লিমিটেডের সম্পাদিত চুক্তিপত্র, কমিশন প্রদানের বিল ভাউচার পর্যালোচনায় বড় অনিয়ম। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড সিট রিজার্ভেশন অ্যান্ড টিকিটিং সিস্টেম-সিএসআরটিএসের জন্য প্রয়োজনীয় সব হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং অ্যাক্সেসরিজসহ আনুষঙ্গিক সেবা সরবরাহের চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় যাত্রী প্রতি ২.৯৯ টাকা। টিকিটপ্রতি কমিশন প্রদানের চুক্তি না করে যাত্রীপ্রতি কমিশন প্রদানের চুক্তি করায় সরকারের ক্ষতি হয়। একজন যাত্রীর জন্য একটি টিকিট ইস্যু করতে যে সময় কাগজ ও কালি ব্যয় হয়, ৪ জন যাত্রীর জন্য একটি টিকিট ইস্যু করতেও একই ব্যয় হয়। কিন্তু সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে রেলওয়ের জেনারেল কোড ভলিউম না মেনে কর্তৃপক্ষ সিএনএস লিমিটেডের সঙ্গে টিকিটপ্রতি কমিশন প্রদানের চুক্তি করে। ফলে রেলওয়ের ক্ষতি হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৭ টাকা। সরকারের স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে এই টাকা সিএনএসের পকেটে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীর অধীন পাকশী বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী এবং লালমনিরহাট বিভাগীয় টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে সীমিত দরপত্র পদ্ধতির ক্রয় প্রক্রিয়ায় তালিকাবহির্ভূত ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনপূর্বক অনিয়মিতভাবে ৮৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮১ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। নিরীক্ষায় চুক্তিপত্রগুলো এবং ঠিকাদারের তালিকাভুক্তির কপি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চুক্তি সম্পাদনকারী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে ক্রয়ের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার না হওয়া সত্ত্বেও পাকশী বিভাগে ইউনিক মাল্টি সিস্টেম, ফেরদৌসী জামান, মেসার্স শাহ আমানত (রহ) এন্টারপ্রাইজ এবং মো. খালেকুজ্জামান পান্না নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া লালমনিরহাট বিভাগে তানজিলা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স নোবেল ট্রেডার্স ও বিসমিল্লাহ কম্পিউটার্স কার্যাদেশ পায়। তারাও টেন্ডার ইভ্যালুয়েশন কমিটি-টিইসি কর্তৃক মূল্যায়িত হয়। আইন লঙ্ঘন করে তালিকাবহির্ভূত ঠিকাদার দিয়ে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তালিকাভুক্ত ঠিকাদার না হওয়া সত্ত্বেও তাদের বিধিবহির্ভূতভাবে মোট ৮৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৮১ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত এক কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩৬ টাকার মালামাল কেনাকাটা করে। এগুলো আর কোনো কাজে লাগেনি। ভোক্তা বিভাগ থেকে যে পরিমাণ মালামালের চাহিদা প্রদান করা হয়েছিল, সেই প্রকৃত চাহিদার তুলনায় ৪০ গুণ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি পরিমাণ কেনা হয়েছে। অডিটে ধরা পড়েছে, কভারিং বক্স নামে একটি আইটেম কেনার জন্য ২০২০ সালের ৩ জুন চুক্তি করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। চাহিদাপত্র অনুযায়ী মাত্র ১০টি কেনার কথা, কিন্তু কেনা হয়েছে ২২২টি। একইভাবে চাহিদা অনুযায়ী একটি সরঞ্জাম (এলবো ১৮এল) কেনার কথা ১০০টি, ঠিকাদারের মাধ্যমে কেনা হয়েছে ৫৫০টি। ড্রিল টুইস্ট নামে আরেকটি আইটেমের টুলস ৪ হাজার ২৯০ পিস কেনার কথা, কেনা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ পিস। এভাবে মাত্র ৬টি আইটেমের মালামাল কেনাটাকায় অতিরিক্ত এক কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩৬ টাকার ব্যয় দেখানো হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ইলেকট্রিক্যাল, রাজশাহী এবং পাকশী বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ক্রয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। নিরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের ক্রয়সংক্রান্ত নথি আর নোট, চালান যাচাইয়ে দেখা যায় যে, আইটেমগুলো চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক ভোক্তা বিভাগ গ্রহণ করেছে। বিলও পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিন যাচাইয়ে মালামালগুলো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মালামালগুলো ইস্যু করারও কোনো রেকর্ড নেই। অর্থাৎ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ক্রয় দেখিয়ে বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক-সিসিএম কার্যালয় দুটি ৪৩ ইঞ্চি এলইডি স্মার্ট টিভি (সনি ব্র্যান্ড) কেনার জন্য এক লাখ ৬৯ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করেছে। কিন্তু বাস্তবে তা নেই। একটি স্যামসাংয়ের মাইক্রোওভেন ৪০ হাজার টাকা, ইলেকট্রিক চুলা ৫ হাজার টাকা এবং একটি আইপিএস দেড় লাখ টাকায় কেনা হয়। যা বাস্তবে পাওয়া যায়নি। একইভাবে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (বিদ্যুৎ) কার্যালয় ৩০০টি ১৮ ওয়াটের ইলেকট্রনিক ব্যালাস্ট ৪৪ হাজার ১০০ টাকায় কেনার জন্য চুক্তি করে। কিন্তু বাস্তবে পাওয়া গেছে ১৪ ওয়াটের ব্যালাস্ট। পাকশী বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভুয়া বিল ভাউচারে সরকারি অর্থ লোপাট করা হয়েছে। ৫টি টায়ার, ৫টি টিউব এবং একটি ব্যাটারি কিনতে এক লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এগুলো পাওয়া যায়নি।
অডিট প্রতিবেদনের বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম মামুনুল বলেন, ‘অডিট রিপোর্টে আপত্তি এলেই যে সবক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে, তা ঠিক নয়। এগুলো বেশির ভাগই সমাধানযোগ্য। এ জন্য আমরা অডিট টিমের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভার আয়োজন করেছি। সভায় কর্মকর্তারা নিরীক্ষা দলকে জবাব দেবেন। গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে না পারলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’