সাবেক এমপি জাফরসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পেকুয়া চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, টৈটং ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, যুবলীগ নেতা আনসারুল ইসলাম টিপুসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলায় আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে পেকুয়া থানায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বাদী হয়ে এই মামলা রুজু করেন।
মামলার এজহারে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঘোষিত উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির স্বাগত মিছিলে নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগের এই নেতারা অতর্কিত গুলিবর্ষণ, মারধর ও ককটেল নিক্ষেপ করেন।
এই ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা কামরুজ্জামান সাঈদী, আবু তৈয়ব, এরশাদুল আলম, রেজাউল করিম মানিক, তামিম হোছাইন, মোহাম্মদ রাজুসহ আরও অনেকে গুরুতর আহত হন।
সে সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের প্রভাবে এই ঘটনায় মামলা নেয়নি স্থানীয় থানা পুলিশ। অবশেষে গতকাল ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদ হোছাইন বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম ফরহাদ হোছাইন বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের আমলে আমরা একটি সুষ্ঠুভাবে মিছিলও করতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রদলের স্বাগত মিছিলে পেকুয়া বাজারে সাবেক এমপি বাইট্টা জাফরের নেতৃত্বে আমাদের মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করা হয় এবং গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে আমিসহ আমার ছাত্রদলের অংসখ্য নেতাকর্মী আহত হন। থানায় তখন ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা বসে ছিল বলে আমরা মামলাও করতে পারিনি। ন্যায় বিচারও পাইনি। আমি আশা করি নতুন বাংলাদেশে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।’
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’