৭ মাস পর আবারও ভাসানচরে যাচ্ছেন ৯০১ রোহিঙ্গা

টেকনাফ প্রতিনিধি
২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫১
শেয়ার :
৭ মাস পর আবারও ভাসানচরে যাচ্ছেন ৯০১ রোহিঙ্গা

দীর্ঘ সাত মাস পর আবারও কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যাচ্ছেন ৯০১ জন রোহিঙ্গা।এর মধ্যে ভাসানচর থেকে ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৩৯৫ জন রোহিঙ্গা ফেরত যাচ্ছেন।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন বলেন, এবার ২৫তম দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫০৬ জন। এ ছাড়া ভাসানচর থেকে আত্মীয়-স্বজনের কাছে বেড়াতে আসা ৩৯৫ জন। সব মিলিয়ে ৯০১ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী ভাসানচরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী ট্রানজিট সেন্টারে আসতে শুরু করেন। সেখানে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রম চালায় শরণার্থী কমিশনার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টরা। পরে রাত ১২টার দিকে উখিয়া থেকে ২০টির অধিক বাস ও ট্রাক করে এসব রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।

১৫নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পরিবার নিয়ে ভাসানচর যাচ্ছেন রোহিঙ্গা যুবক আবুল কালাম (২৭)। তিনি বলেন, এখন ক্যাম্প নিরাপদ না। প্রত্যেকদিন রাত হলে গোলাগুলি, অপহরণসহ অনেক নির্যাতন চলছে। সন্ত্রাসীদের কারণে পরিবার নিয়ে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে চলে যাচ্ছি। অন্ততপক্ষে নির্ভয়েই ঘুমাতে পারব।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা পৌঁছার পর নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় জাহাজযোগে ভাসানচর পৌঁছাবেন এসব রোহিঙ্গারা। এ ছাড়া ভাসানচর থেকে বেড়াতে আসা ৩শ রোহিঙ্গাও ভাসানচরের উদ্দেশে তাদের সফরসঙ্গী হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্যমতে, এর আগে ২৪তম ধাপে ১ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিগত ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে শুরু করেছিল।

ভাসানচরের তিন হাজার একর জায়গার চারপাশে বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। লাগানো হয়েছে নারকেল সুপারিসহ বহু গাছপালা। বসবাসের জন্য আছে বাড়িঘর, আশ্রয়কেন্দ্র, আছে পরিকল্পিত রাস্তাঘাটও। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এর মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে কয়েক মাসের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।