ভারতে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান চান তাছলিমা
ভারতের মেঘালয়ের নলিকোটা এলাকায় পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে নিখোঁজ শেখ ফরিদের (৪০) সন্ধান চান তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম। শেখ ফরিদকে ফিরে পেতে বিজিবি ও বর্তমান সরকারের সহযোগিতা করেন তিনি।
শেখ ফরিদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা লাউড়েরগড় গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে অবৈধভাবে লাউড়েরগড় সীমান্ত এলাকার যাদুকাটা নদী দিয়ে জিরো লাইন অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে নৌকা নিয়ে চলে যায় ৩০-৪০ জন শ্রমিক। পরে ভারতীয় সীমানার অভ্যন্তরে মেঘালয় রাজ্যের নলিকাটা থানার ঘুমাঘাট বস্তি সংলগ্ন নদীতে পাথর উত্তোলন করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভারতীয় খাসিয়ারা সংঘবদ্ধ হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। এসময় সবাই সাঁতরে এ পারে আসতে পারলেও ফরিদকে আটক করেন খাসিয়ারা। পরে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেয় খাসিয়ারা। পরে খাসিয়ারা তাকে বস্তায় ভরে নিয়ে যায়। পরিদন সকালে সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা এসে পরিবারকে এসব তথ্য জানায়।
এদিকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফরিদের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, ‘আজ সোমবারও বাড়ি ফিরে আসেনি। তার কোনো সংবাদও জানতে পারছি না। তার সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা বাড়িতে এসে জানিয়েছেন নলিকোটা এলাকার খাসিয়ারা প্রথমে তাকে আটক করে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর লাশটা অন্তত ফিরে পেতে চাই। শেষবারের মত দেখতে আর সন্তাদেরও দেখাতেও চাই। ’
এছাড়া মুসলমান হিসেবে লাশের দাফন কাফনের জন্য বিজিবি ও বর্তমান সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তাছলিমা বেগম।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘লোক মুখে আমরাও খবর পেয়েছি একজন শ্রমিক অন্যায়ভাবে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। আমি এখনও বলতে পারছি না, তিনি সীমান্তের ওপারে গিয়ে খুন হয়েছেন বা নিখোঁজ আছেন। এখন পর্যন্ত দায়িত্বশীল কোন মাধ্যম থেকে আমাদের এই বিষয়টি জানানো হয়নি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার নিয়ম অনুযায়ী থানায় জিডি এন্ট্রি করতে হবে, পরে পুলিশ আমাদের জানালে আইনানুগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’
