ইশরাকের গাড়িতে হামলার ঘটনায় ৬২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দুই বছর আগে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা, ভাঙচুর ও আহতের ঘটনায় ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহষ্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই থানায় মামলাটি করেন ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। মিরসরাই থানায় মামলা নম্বর ১৮।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তার মেজো সন্তান ও চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, মো. এনায়েত হোসেন নয়ন, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূইয়াঁ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্দ এলিট, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু, মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাঈনুর ইসলাম রানা, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়াসহ ১৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মিরসরাই পৌরসভার সব কাউন্সিলরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার সময় মিরসরাই পৌরসভার মহাসড়কে ফুটওভারব্রিজের নিচে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশনায় ওই হামলা চালায়ে তার দলের সন্ত্রাসীরা গাড়ি ভাঙচুর ও যুবদলের নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করে। অনেকের পরনের কাপড় খুলে উলঙ্গ করে মারধর করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। আহতদের হাসপাতালে নিতেও বাঁধা দেয় তারা। আবদুল আওয়াল মিন্টু সাহেবের ভাই আকবর সাহেবের গাড়ি ভেঙেচুরে তছনছ করে সন্ত্রাসীরা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১২ অক্টোবর ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশ থাকায় বিএনপি'র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরের সঙ্গে আমাদের গাড়িসহ সর্বমোট প্রায় ৫০-৬০টি গাড়ি ছিল। ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরের সঙ্গে ফেনী জেলা যুবদল, ছাত্রদলসহ তারা গাড়িবহর নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা সদরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গাড়িবহর সকাল সাড়ে ১১টায় মিরসরাই থানাধীন মিরসরাই থানা পার হয়ে ২০০ গজ সামনে পৌঁছালে উল্লেখিত বাদীরা রাম দা, ছুরি, দেশী-বিদেশি অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা করে গাড়ি ভাঙচুরসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের মারধর করে। এ ঘটনায় তিনিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ওই হামলায় প্রায় ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও তাদের বিভিন্ন জনের মোবাইল ও পকেটে থাকা নগদ প্রায় এক কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।