হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকেও হত্যার দাবি ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:১০
শেয়ার :
হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকেও হত্যার দাবি ইসরায়েলের

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকেও হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ‘তিন সপ্তাহ আগে হাশেম সাফিয়েদ্দিন লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরতলীতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।’ ইংল্যান্ডভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসিতে এ খবর প্রকাশ করা হয়।

তবে শিয়া মুসলিমদের শক্তিশালী সংগঠন হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনও সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়নি। 

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির সর্বশেষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। এরপর গত ৪ অক্টোবর বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলার পর হিজবুল্লাহ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ‘তারা সাফিয়েদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেছিল, ‘সাফিয়েদ্দিন ছিলেন সেদিনের বোমা হামলার টার্গেট। সেই রাতে ব্যাপক বিস্ফোরণে বৈরুত নগরী কেঁপে ওঠে। সকাল পর্যন্ত ধোঁয়ার কুন্ডুলি দেখা যায় সেখানে।’

অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাফিয়েদ্দিনের সঙ্গে একই ঘটনায় নিহত হন আলী হুসেইন হাজিমা, যাকে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দফতরের কমান্ডার হিসেবে দাবি করেছে ইসরায়েল।

প্রসঙ্গত, হিজবুল্লাহ একটি সামরিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। অন্যদিকে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ হিজবুল্লাহ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দাবি করে আসছে।

তবে, ২০১৭ সালেই যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব সাফিয়েদ্দিনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করে।

হাশেম সাফিয়েদ্দিন ছিলেন হাসান নাসরাল্লাহর নিকটাত্মীয় এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ইরানে শিক্ষালাভ করেছেন। তার ছেলে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানির মেয়েকে বিয়ে করেছেন। কাশেম সোলাইমানি ছিলেন ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার। ইরানে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।

বৈরুতে চলতি গ্রীষ্মে দেওয়া এক ভাষণে সাফিয়েদ্দিন কীভাবে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে আসছেন তার বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রতিরোধ সংগ্রামে যখন একজন নেতা শহীদ হন, তখন আরেকজন পতাকা তুলে নেন এবং নতুন করে দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যান।’

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত দুই হাজার ৪৬৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও প্রায় ১২ হাজার মানুষ।

এদিকে হিজবুল্লাহও একই সময়ে হাজার হাজার রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েল ও দখলকৃত গোলান মালভূমিতে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।