বঙ্গভবনের আজকের পরিস্থিতি কেমন, জানা গেল
রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের বাসভবন বঙ্গভবনের সামনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আজ বুধবার সকাল থেকে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে বঙ্গভবন এলাকার আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
দেখা গেছে, বঙ্গভবনের সামনের বেষ্টনী ভেঙে যাতে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে, সে কারণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। এর পাশাপাশি তার কাটার বেড়া নতুন করে বসানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আন্দোলন করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষেরা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিশ্চিতের আশ্বাস দেন হাসনাত-সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিন বিকেল থেকেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়।
এ ছাড়া গুলিস্তান আউটার স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে পুলিশের একটি বড় দল বঙ্গভবনের সামনে আসার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাদেরও পথ আটকে দেয়। তাদের তোপের মুখে পুলিশ পিছু হটার পরেও পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। হামলার মুখে কয়েকজন পুলিশ সদস্য অস্ত্র ফেলেই চলে যান। পরে আন্দোলনকারীরা অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মানবজমিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে বেশ উত্তাপ-আলোচনার সৃষ্টি করে। এমন মন্তব্যের জেরে শিক্ষার্থীসহ অনেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেন। এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলসহ বিভিন্ন ব্যানারে একাধিক প্লাটফর্ম আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের আল্টিমেটামও ঘোষণা করেন।
এদিকে সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।