মনি কিশোরের ইচ্ছাতেই দাফন হবে তার মরদেহ
রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে শনিবার দিবাগত রাতে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিল্পীর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, মৃত্যুর প্রায় চার-পাঁচদিন পর রামপুরার ভাড়া বাসা থেকে নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মনি কিশোরের মৃত্যুর কারণ এখন জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা থানার পুলিশ কর্মকর্তা খান আবদুর রহমান।
এদিকে, মারা যাওয়ার পর গায়কের মরদেহ কী করতে হবে, তা বলে গিয়েছিলেন একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে। বর্তমানে শিল্পীর মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেখান থেকে তার পরিবারকে তিনি জানিয়েছেন, বাবার শেষ ইচ্ছের কথা। মনি কিশোর মেয়েকে বলে গেছেন তার মৃত্যুর পর যেন ইসলাম ধর্মমতে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার গণমাধ্যমে বলেন, ‘নিনিন্তি জানিয়েছে তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। এমনটাই নাকি ওর বাবা ওকে বলে গিয়েছিল। যেহেতু মেয়েকে বলে গিয়েছে, তাই তার ইচ্ছায় দাফন করা হবে।’
তিনি এও জানান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে মনি কিশোরের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এরপর ওরাই সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় মরদেহ দাফন করা হবে। তবে নিনিন্তির অনুরোধ- তার বাবাকে যেখানেই কবর দেওয়া হোক, সেখানে যেন একটা চিহ্ন রাখা হয়। সে যেন বাবার কবরটা খুঁজে পায়।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
শিল্পীর ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা অশোক কুমার মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনি কিশোর হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছিলেন।
উল্লেখ্য, নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপুরে মামাবাড়িতে ১৯৫৮ সালে মনি কিশোরের জন্ম। মনি কিশোর নামে সংগীতাঙ্গনে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম মনি মণ্ডল। কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন এই গায়ক। পুলিশ কর্মকর্তা বাবা অনিল কুমার মণ্ডলের চতুর্থ সন্তান ছিলেন এই গায়ক।
আরও পড়ুন:
লরির ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত
নব্বই দশকের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। তখন ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। এরপর মুসলিম হিসেবেই জীবন-যাপন করেছেন। দেড় যুগ আগে স্ত্রীর সঙ্গে তার দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটে। রামপুরায় একটি ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন তিনি।