হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটি ছিল মূলত ২০২০ সালের বাইডেন-ট্রাম্প লড়াইয়ের আরেকটি ফাইনাল পর্ব। কিন্তু জুলাই মাসে বাইডেন সরে দাঁড়ানোয় সেটি হয়ে দাঁড়িয়েছে কমলা-ট্রাম্প লড়াইয়ের ক্ষেত্র। আগামী ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে মার্কিন ভোটারদের কাছে এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র কি প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে, নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাচ্ছেন। এদিকে জরিপের ফলগুলো বলছে- লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। তবে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি গতকাল ১৯ অক্টোবর হালনাগাদ জরিপের ফল প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে কমলা হ্যারিস দুই পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন। ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৪৬ শতাংশ এবং কমলার পক্ষে রয়েছে ৪৮ শতাংশ। এ ছাড়া সুইং স্টেট বা ব্যাটেল গ্রাউন্ড হিসেবে রাজ্যগুলোতে একেবারে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রয়েছে প্রতিটি রাজ্যের ইলেক্ট্রোরাল কলেজ সংখ্যা। মোট ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোট রয়েছে ৫৩৮টি। আর প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে পেতে হবে ২৭০টি ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ভোট। যে রাজ্যে যে প্রার্থী জয়ী হবেন, ওই রাজ্যের ইলেক্ট্রোরাল ভোটগুলো তার ঝুলিতে জমা হবে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে, কিন্তু দেখা যায় ঐতিহ্যগতভাবে বেশিরভাগ রাজ্যগুলো একই দলকে ভোট দেয়। কিন্তু এমন কিছু অঙ্গরাজ্য রয়েছে, যেগুলোতে উভয় প্রার্থীই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেগুলো মূলত যুদ্ধক্ষেত্র রাজ্য বা সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত। এবার দেখা গেছে সাতটি সুইং স্টেটে দুই প্রার্থীর ব্যবধান খুবই কম।এ ছাড়া ভোটের গড় অনুসারে কোনো প্রার্থীই ‘লিড’ ধরে রাখতে পারছেন না। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং উত্তর ক্যারোলিনায় আগস্টের শুরু থেকে বেশ কয়েকবার এগিয়ে থাকা প্রার্থী রদবদল হয়েছে। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রাম্প অল্প ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস